শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

মনপুরায় ঘরের অপেক্ষায় দুই শত ছিন্নমূল পরিবার

রিপোর্টারের নাম / ১৯২ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১

রিকশা চালিয়ে পরিবার-পরিজন লইয়া খাইতে কষ্ট হয়। বেড়ীর ঢালে ওয়াপদার জমিতে ঝুপড়ি ঘরে বাস করি, স্বপ্নে ভাবেনি পাকা ঘরে থাকুম বলে কেঁদে ফেলেন রিকসা চালক মাহবুব। দুই হাত তুলে দোয়া করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। শুধু মাহবুব নন সাব-রেজিস্টার অফিসে দীর্ঘদিন বুয়ার কাজ করা রহিমা বেগম, বিধবা পেয়ারা বেগমসহ দুইশত ভূমিহীন ও গৃহহীন ছিন্নমূল পরিবার স্বপ্নে ভাবেনি পাকা ঘরে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসাবে ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ২ শত পরিবারের জন্য নির্মান করা হচ্ছে স্থায়ী আবাসন। স্বপ্নের আধা-পাকা ঘরের অপেক্ষা উপকূলের ২ শত গৃহহীন ও ভূমিহীন ছিন্নমূল পরিবার।

জানা যায়,‘আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এই প্রতিপাদ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নে ৬৪ টি, ১ নং মনপুরা ইউনিয়নে ৫৩ টি, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নে ৪১ টি ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ৪২ টি ঘর সহ দুইশত পরিবারের জন্য সরকারি খাস জমিতে আধা-পাকা ঘর নির্মানের কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। বারান্দা, বাথরুম, রান্নাঘর সহ দ্ইু কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা-পাকা ঘরের নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রতিটি পাকা ঘরের জন্য প্রতিটি পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমির কবুলত রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে গেছে।

এদিকে দুই দফা ১৫ ও ২০ জানুয়ারী উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জানুয়ারী উদ্বোধনের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে পাকা ঘর তুলে দিবেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার হাজিরহাট, মনপুরা, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে রাজমিস্ত্রী ও কাঠমিস্ত্রি দিন-রাত কাজ করছেন। ঘর নির্মানের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ইউএনও মোঃ শামীম মিঞা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা দিনে ও রাতে গিয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রতিটি ঘরের কাজ শেষ পর্যায়ে। কোথাও কাঠমিস্ত্রীরা টিনের চালায় লাল ও সবুজ রংয়ের টিন লাগাচ্ছেন। অপরদিকে রাজমিস্ত্রীরা দ্রুত গতিতে কাজ সম্পন্ন করার জন্য রাত-দিন কাজ করছেন।

এই ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস মিয়া জানান, প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতক জমির মধ্যে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যায়ে আধা-পাকা ঘর প্রস্তুত করে দেওয়া হবে।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা যুগান্তরকে বলেন, ঘরের কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রতিটি পরিবারের জন্য ২ শতাংশ খাস জমি কবুলত রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য দিন-রাত সবাই মিলে কাজ করে যাচ্চি। আল্লাহর রহমতে আগামী ২৩ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী ২ শত পরিবারে কাছে এই ঘর তুলে দিবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর