বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন

‘ভ্যাকসিন নিবন্ধনের অ্যাপ তৈরিতে এক টাকাও খরচ হচ্ছে না’-প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক

রিপোর্টারের নাম / ৪৫৫ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বুধবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভ্যাকসিন বিষয়ক অ্যাপ তৈরিতে এক টাকাও খরচ হচ্ছে না। করোনা টিকা গ্রহীতাদের জন্য ডাটাবেজ তৈরিতে যে অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে তার জন্য টাকা খরচের খবরটি সঠিক নয়।’

 

 

 

মঙ্গলবার ( ১২ জানুয়ারি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

 

 

 

গত ১১ জানুয়ারি একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ‘২৫ জানুয়ারির মধ্যে আসতে পারে টিকা, নিবন্ধন অ্যাপে’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে আরও বলা হয়েছে এ অ্যাপ তৈরিতে প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।

 

 

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর মতে, আইসিটি বিভাগে একটি ডাটাবেজ সফটওয়্যার আগে থেকেই তৈরি আছে। সেই ডাটাবেজের ওপর ‘সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করা হবে। ওটাই হবে সেই অ্যাপ। আইসিটি বিভাগে কর্মরত প্রোগ্রামাররাই (ইনহাউজ প্রোগ্রামার) অ্যাপটি তৈরি করবেন। নিজেদের জনবল, অফিস, রিসোর্স ব্যবহার করে কাজটি করা হবে। ফলে এর জন্য কোনও টাকাই খরচ হবে না। কারণ কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অ্যাপটি তৈরির জন্য আইসিটি বিভাগ হতে কার্যাদেশ দেয়া হয়নি। পলক বলেন, তার দফতরের কেউই এমন তথ্য প্রকাশ করেনি মর্মে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি মনে করেন, একটি শুভ উদ্যোগকে (ভ্যাকসিনেশন) বাধাগ্রস্ত করতে এমন সংবাদ করা হয়েছে।

 

 

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সফটওয়ারটি তৈরি করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করবে সুতরাং ‘সুরক্ষা’ সফটওয়ার ও অ্যাপ তৈরিতে কোনো সরকারি খরচ নেই এবং এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কারো নিকট কোনো টাকাও দাবি করেনি।

 

 

 

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আইসিটি বিভাগকে বলা হয়েছে যেহেতু একটা ডাটাবেজ রেডি আছে এবং সেটা পরীক্ষিত। ফলে ওই ডাটাবেজটি ব্যবহার করে সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে। ভ্যাকসিন দিতে হলে গ্রহীতার বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত (নাম, ঠিকানা, বয়স ইত্যাদি) থাকতে হবে। অনেক তথ্য ক্রস চেক করতে হবে। ফলে প্ল্যাটফর্ম একটা প্রয়োজন হবেই। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের তরুণ ও মেধাবী কর্মকর্তাগণ করোনা ভ্যাকসিন সুষ্ঠু বিতরণের লক্ষ্যে তাদের শতভাগ ডেডিকেশন, মেধা, সময় দিয়ে “সুরক্ষা” সফটওয়ারটি তৈরি করেছেন; যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

 

 

 

সংশ্লিষ্ট সকলের অনুপ্রেরণা পেলে তারা এ ধরনের উদ্ভাবনী কাজ আরও করতে উৎসাহিত হবেন। তবে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা হলে তরুণ মেধাবী কর্মকর্তারা নিরুৎসাহিত হতে পারেন এবং দেশের কল্যানে নিত্য নতুন Innovation ও Digital Service কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। অধিকন্তু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাগণ কর্তৃক কারিগরি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে হতাশার সঞ্চার করতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর