ওয়ানডের জন্য টাইগারদের ১৮ জনের দল!
প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ শেষ। ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ও শেষ গা গরমের ম্যাচ। এখন একটাই প্রশ্ন, দল ঘোষণা হবে কবে? নির্বাচকরা কি দ্বিতীয় ওয়ার্মআপ ম্যাচটাও দেখবেন, নাকি তার আগে শুক্রবারই দল দিয়ে দেবেন? ক্রিকেট অনুরাগীদের কৌতুহল।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে সাথে আলাপে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু সোজা জানিয়ে দিলেন, ‘আমরা ১৬ জানুয়ারি (শনিবার) দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের পর ওইদিনই দল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।’
এ তথ্য দেয়ার পাশাপাশি নান্নু আরও একটি কথাও বলেছেন। যেহেতু করোনায় জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার বিষয়টি আছে। তাই অন্য সময়ে যেমন হোম সিরিজে ম্যাচের আগের দিনও ক্রিকেটারকে দলে টানা যায়, এবার তা করার কোনই সুযোগ নেই। এ কারণেই ওয়ানডে সিরিজের জন্য ১৮ জনে দল সাজাতে চান নির্বাচকরা।
১৮ জনকে এক সাথে ডাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নান্নু বলেন, ‘শুধু বায়ো বাবলে থাকাই নয়, কেউ হঠাৎ করোনায় আক্রান্ত হলে তখন বিকল্প ক্রিকেটারকে দলে নেয়ায় বিপত্তির সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমরা একসঙ্গে ১৮ জনকে নিয়ে রাখতে চাই।’
বাঁ হাতের বুড়ো আঙ্গুলে বল লেগে ব্যথা পাওয়া পেসার তাসকিন আহমেদের কী হবে? তাকে কি দলে রাখা হবে? এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমরা আশা করছি তাসকিনকে ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে খেলানোর। যদি সে খেলতে পারে এবং বোলিং করতে পারে, তাহলে কোনই সমস্যা নেই। ওই ম্যাচ খেলতে না পারলে তাকে নেয়া কঠিন হবে।’
দলে নতুন ক্রিকেটারের অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে নান্নু ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ কিছুই বলেননি। তবে হাবভাবে বোঝাই গেল, আজ (বৃহস্পতিবার) প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে বল হাতে নজর কাড়া দুই তরুণ দ্রুত গতির বোলার হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামের ১৮ জনে থাকার সম্ভাবনা খুব বেশি।
যেহেতু ইনজুরির কারণে আগেভাগেই ক্যাম্পের বাইরে ছিটকে পড়েছেন আরেক তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন। তাই এই ব্যাটসম্যানের দলভুক্তির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
জানা গেছে, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীনকে ধরে ১৬ জনের দলে ৬ জন পেসার রাখা হবে। অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহীম, ‘চ্যাম্পিয়ন’ সাকিব আল হাসান, অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার অটো চয়েজ। এর বাইরে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মেহেদি হাসান এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব‘র অন্তত তিনজনকে দলে দেখা যাবে।
পেস বোলারদের মধ্যে অভিজ্ঞ রুবেল হোসেন, কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে দুই তরুণ হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলামের থাকাও মোটামুটি নিশ্চিত। সাথে অভিজ্ঞ আল আমিন হোসেনও থাকবেন বিশেষ বিবেচনায়। সুস্থ থাকলে তাসকিনও থাকবেন। এছাড়া একমাত্র পেস বোালিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দীনও অটোমেটিক চয়েজ।