সেশনজট নিরসনে ঢাবিকে ‘রোডম্যাপ’ তৈরির নির্দেশনা রাষ্ট্রপতির
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সেশনজট কাটিয়ে উঠতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষকে একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের নির্দেশনা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পলিসি (এসওপি) প্রণয়নেরও পরামর্শ দেন।
রোববার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন। রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার সূতিকাগার। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য ভূমিকা রয়েছে।
উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান জানান, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম ও শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
উপাচার্য জানান, শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন শ’ মৌলিক গবেষণা প্রকাশিত হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরে একটি সেন্টেনারি মনুমেন্ট স্থাপন করা হবে।
এসময় উপাচার্য ১ জুলাই ২০২১ তারিখে শতবর্ষপূর্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান।
করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন তিনি। এছাড়া উপাচার্য জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি লাঘবে এবার প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।