মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন

পূরণ হলো না অভিনেতা আবদুল কাদেরের শেষ ইচ্ছে

রিপোর্টারের নাম / ১২১ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০

জনপ্রিয় অভিনেতা আব্দুল কাদের আর নেই। আজ শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে প্যানক্রিয়াসের (অগ্ন্যাশয়) ক্যান্সারে ভুগে মারা গেছেন দেশের নন্দিত অভিনেতা আবদুল কাদের। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।

এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে শোবিজে। শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

জানা গেলে এই অভিনেতা বুকের ভেতর পুষে রেখেছিলেন এক ইচ্ছে। সেই ইচ্ছে পূরণের আগেই তিনি পরপারে পাড়ি জমালেন। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানলেন।

আজ তার মৃত্যুর পর তারই এক সহকর্মী, প্রকাশক, অভিনেতা ও সংগঠক হাফিজুর রহমান সুরুজ জানান, আবদুল কাদের তার আত্মজীবনী নিয়ে একটি বই বের করতে চেয়েছিলেন। সুরুজ বলেন, ‘উনার একটা শেষ ইচ্ছা ছিলো। আত্মজীবনী লিখতে চেয়েছিলেন। উনি বলেছিলেন আমার জীবদদ্দশায় তুই বইটা বের করে দে। এই কথা বলার পর আমি একটা লোকও পাঠাতে চেয়েছিলাম তার কাছ থেকে শুনে শুনে তার জীবনীর পান্ডুলিপিটা করার জন্য। কিন্তু সে মানা করেছিল। এরপর সে নিজেই তার আত্মজীবনী লেখা শুরু করেছিল।’

সর্বশেষ চলতি বছরের আগস্ট মাসের ২০ তারিখ একটা ব্যক্তিগত কাজে আব্দুল কাদেরের সঙ্গে কথা হয় হাফিজুর রহমান সুরুজের। তখন জানান, আত্মজীবনীর বেশ কিছু অংশ লিখে ফেলেছেন। এমনকি বলেছিলেন, এই একুশে বইমেলায় বইটা বের করতে পারবো।

আত্মজীবনের এই বইটি এই প্রকাশক বের করতে চান কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এখন তো বলা মুশকিল। তার পরিবারের যদি অনুমতি দেয় তাহলে অবশ্যই বইটি ছাপার ইচ্ছা আছে। যতটুকু তিনি লিখে গেছেন সেটুকুই তার ভক্তদের সামনে আনতে প্রস্তুত আমি।’

এদিকে অভিনেতার পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি নিশ্চিত করেছেন, আজ শনিবার মাগরিব নামাজের পর রাজধানীর বনানীতে সমাহিত করা হবে তাকে। তার আগে রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন আবদুল কাদেরকে।

‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের চরিত্র ‘বদি’ খ্যাত আবদুল কাদেরের জন্ম মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে। তার বাবা মরহুম আবদুল জলিল। মা মরহুমা আনোয়ারা খাতুন। স্ত্রী খাইরুননেছা কাদেরের সঙ্গে সুখের দাম্পত্যে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। রেখে গেছেন অসংখ্য গুণগ্রাহী ও বন্ধু স্বজন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর