‘ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরিতে পরিকল্পনা গ্রহণের বিকল্প
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরির জন্য আগামী দিনের পরিকল্পনা গ্রহণের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সামনের দিনের পৃথিবীতে শিক্ষার কি রূপ নিবে, নতুন প্রজন্মের জন্য কি ধরণের শিক্ষার দরকার হবে তা নিরূপণ করার এখনই সময়। প্রচলিত প্রযুক্তি তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের। সামনের প্রযুক্তি হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমতা, রোবটিকস, আইওটি, ব্লকচেইন কিংবা বিগডাটাসহ নতুন নতুন প্রযুক্তি। প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি আমাদেরকে এখন থেকেই গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় ওয়েবিনারে আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত কম্পিউটার ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক ২৩তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগা মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ৯৬ সালের আগে দেশে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে যোগদানে কার্যত কোন উদ্যোগই গ্রহণ করা হয়নি। কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপন করেন। সারা পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিন্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউ এর সদস্য পদ গ্রহণ করে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করেছিলেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে গত ১২ বছরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে এখন বাংলাদেশ। দেশের প্রতিটি মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নে পৃথিবীর আজ অনুকরণ করছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সংযোগ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ পৃথিবীর উন্নত দেশের প্রায় সমান পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের পথিকৃৎ মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠী আমাদের আগামী দিনের সমৃদ্ধ জাতি বিনির্মাণের হাতিয়ার।
মন্ত্রী বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগের দক্ষ সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফজলে এলাহী‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আবদুর রহিম মোল্লাহ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন।