শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন

অগণিত রেকর্ডে বর্ণিল বিকাল

রিপোর্টারের নাম / ২২৯ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০

মিরপুরে হলো ছক্কা বৃষ্টি। টি-টোয়েন্টিতে দুই ইনিংসের দুটিতে সেঞ্চুরি হলো প্রথমবার। তাতে ওলটপালট হলো রেকর্ড বুক।

মিরপুর শের-ই-বাংলায় ফরচুন বরিশাল ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী রান উৎসবে মেতেছিল। আগে ব্যাটিং করে রাজশাহী ২২০ রান তোলে। ১১ বল হাতে রেখে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল। দুই দলের মহারণে যেসব নতুন কীর্তি হলো সেসব তুলে ধরছে –

১. সর্বোচ্চ দলীয় রান তাড়া করার রেকর্ড গড়েছে বরিশাল। ২২১ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে অনায়াসে। এর আগে ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সিলেট রয়্যালস ১৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল।

২. দুই দলের রানবন্যায় ম্যাচে এসেছে ৪৪১ রান। যা বাংলাদেশের মাটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ম্যাচটি হয়েছিল ৪৬০ রানের।

৩. ছক্কার রেকর্ডও হয়েছে এ ম্যাচে। রাজশাহী ১৮ ছক্কার জবাবে বরিশাল মেরেছে ১০ ছক্কা। এর আগে বাংলাদেশে ঘরোয়া কোনও আসরে এত ছয় হয়নি। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রিলিমিনারি ফাইনালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ও সিলেট রয়্যালসের ম্যাচে হয়েছিল ২৭ ছক্কা। তবে ২০১৪ সালে সিলেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচে হয়েছিল ৩০ ছক্কা। যা বাংলাদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ।

 

৪. নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৫ বলে ১০৯ রান তুলে রাজশাহীকে এনে দিয়েছিলেন বিশাল পুঁজি। কিন্তু তার সেঞ্চুরি ভেস্তে যায় পারভেজ হোসেন ইমনের দোর্দণ্ড প্রতাপে। মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি তুলে ইমন জেতান বরিশালকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তামিম এর আগে ৫০ বলে পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি।

৫. এর আগে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হয়নি কখনও। শান্তর অনবদ্য সেঞ্চুরির জবাবে ইমনের ইনিংসটিও ছিল মনোমুগ্ধকর।

৬. টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মানেই বাউন্ডারির ফোয়ারা। দুই দল আজ সেই কথা মনে করিয়েছে বারবার। দুই দলের ৪৪১ রানের মধ্যে ২৯২ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ম্যাচটি হয়েছিল ৪৬০ রানের। সেখানে বাউন্ডারি থেকেই এসেছিল ৩১২ রান।

 

৭. তামিম ও ইমন ৫৩ বলে ১১৭ রানের জুটি গড়েন। এ টুর্নামেন্টে যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ।

৮. নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৯ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ১১ ছক্কায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ইনিংসে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। তামিম ২০১৯ সালে বিপিএলের ফাইনালে ১৪১ রান করেছিলেন ১১ ছক্কায়।

৯. ব্যাটসম্যানদের রান উৎসবের দিনে হ্যাটট্রিক পেয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বী। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পঞ্চম হ্যাটট্রিকের কীর্তি এটি। রাব্বী বাদে হ্যাটট্রিক আছে আল-আমিন হোসেন, অ্যালিস আল ইসলাম ও মানিক খানের। আল-আমিন একাই দুইবার হ্যাটট্রিক পেয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর