মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

বরিশালে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা মামলায় আসামীর ফাঁসি

রিপোর্টারের নাম / ১৬৫ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

শামীম আহমেদ ॥বরিশাল নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের মাহমুদা বেগমের তৃতিয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী সিমা (৮)কে ধর্ষণ, আপহরন ও লাশ গুম করার অপরাধে পৃথক তিনটি ধারায় আসামী আবুল কালাম আজাদ (ওরফে) কালুকে মুত্যুদন্ড,যাবতজীবন ও সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা আরো দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে ভিকটিমের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আবু শামীম আজাদ।

আজ বৃহস্পতিবার (৩) ডিসেম্বর বেলা ১২ টায় আসামী ও বাদী পরিবারের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন।

বরিশাল উন্নয়ন সংগঠন আভাষের পক্ষ থেকে সিমার পরিবারকে আইন ও শালিশ কেন্দ্রের মামলা পরিচালিত আইনজীবী মোকলেচুর রহমান খান জানান, ২০১৮ সালের ১১ই মার্চ আনুমানিক দুপুর ২টারদিকে শিক্ষার্থী সিমা (৮) স্কুলের পাশ^বর্তী আবুল কালাম আজাদ কালুর বাড়ির বাথরুমে গেলে সেসময় কালুর বাড়িতে কেহ না থাকার সুযোগে সিমাকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে বস্তায় ভরে হালিম মাস্টারের পারিবারিক কবরস্থানে ফেলে দিয়ে আসে।

পরবর্তীতে ১৩ই মার্চ এয়ারপোর্ট থানা পুুিলশ কবরস্থান থেকে বস্তাবন্ধি অবস্থায় সিমার লাশ উদ্ধার করে হয়।

এঘটনায় শিশু সিমার মা মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বচরের ২০ই সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সেপ্রেক্টর আঃ রহমান মুকুল আদালতে কালুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট প্রতিবেদন দাখিল করে।

পরবর্তী সময়ে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য শেষ করার জন্য প্রেরন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল দীর্ঘ দেড় বছর মামলাটি পরিচালনাকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ ১০জনের স্বাক্ষ গ্রহন শেষে নারী ও ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক আসামী আবুল কালাম আজাদ কালুকে ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। রায়ে একই সময় সিমাকে অপহরন করার অপরাধে যাবতজীবন ও লাশ ঘুম করার অপরাধে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের পাশাপাশি আসামীর স্থাবর অস্থাবর বিক্রি করে বিকটিম পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা দেয়ার আদেশ প্রদান করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর