কর আহরণে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করদাতাদের অভূতপূর্ব সাড়া কর আহরণে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ৩০ নভেম্বর ‘জাতীয় আয়কর দিবস-২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষে আমি দেশের সকল সম্মানিত করদাতা এবং আয়কর বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
সবাই মিলে দিব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর— স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর জাতীয় আয়কর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্বচ্ছ ও আধুনিক করসেবা প্রদানের মাধ্যমে করদাতা-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। এই বোর্ড ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রের রাজস্ব ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশে রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি গড়ার লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মসূচির ছোঁয়া জাতীয় পর্যায় থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সৃষ্ট মহামারির কারণে এ বছর আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত না হলেও কর অঞ্চলগুলোতে করদাতাদের অভূতপূর্ব সাড়া কর আহরণে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আয়কর প্রদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় ট্যাক্সকার্ড নীতিমালা, ২০১০ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী এবার ১৪১ জন করদাতাকে ট্যাক্সকার্ড এবং সারাদেশে ৫২৫ জন সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদী করদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে মুজিববর্ষে সবাইকে একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।