ফরচুন বরিশাল ৫ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহীকে
জেমকন খুলনার বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের নিশ্চিত জয়ের ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছিল উদ্বোধনী দিনে। এবারও তেমন কিছুর শঙ্কা ছিল। শনিবার রাজশাহী ও বরিশালের ম্যাচে ছড়িয়েছিল রোমাঞ্চ। কিন্তু এদিন মাঠে ছিলেন তামিম ইকবাল। বরিশালের অধিনায়ক দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’ – এ প্রথম জয় পেল বরিশাল। তারা ৫ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহীকে। বরিশালের জয়ে প্রথম হারের স্বাদ পেল রাজশাহী। মিরপুর শের-ই-বাংলায় আগে ব্যাটিং করে রাজশাহী ৯ উইকেটে ১৩২ রান জমা করে। জবাবে এক ওভার হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে বরিশাল।
২২ গজে দ্যুতি ছড়ান তামিম ইকবাল। ৬১ বলে খেলেন ৭৭ রানের ইনিংস। ১০ চার ও ২ ছক্কায় সাজান নিজের ম্যাচজয়ী ইনিংস। স্পিনার মেহেদী ও শান্তকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়েছেন। এছাড়া পাওয়ার প্লে’তে পেসারদের খেলেছেন বেশ ছন্দে।
শেষ দিকে সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও তামিম টিকে ছিলেন। দৃঢ় মনোবলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি ওপেনার। এদিন ভালো করতে পারেননি মিরাজ (১) ।
পারভেজ হোসেন ইমন ভালো শুরু করলেও ১৭ বলে ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে ২৪ বলে আসে ১৭ রান। আফিফ হোসেন পেয়েছেন গোল্ডেন ডাক।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরুর পর হঠাৎ ছন্দপতন রাজশাহী শিবিরে। নাজমুল হোসেন শান্ত ২৪ রানে আবু জায়েদ রাহীর বলে তামিমের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর রনি তালুকদার (৬) মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন। সতীর্থ ইমনের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে আশরাফুল রান আউট হন ৬ রানে। ভালো করতে পারেননি কাজী নুরুল হাসান সোহানও (০) । ৩৯ থেকে ৬৩ রানে যেতেই ৫ ব্যাটসম্যান হারায় রাজশাহী।
সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ফজলে মাহমুদ ও মেহেদী হাসান। প্রতি আক্রমণে দুই ব্যাটসম্যান দলের রান বাড়ান দ্রুত গতিতে। তাদের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৬৫ রান। তবে দুইজনের কেউই দলের দাবি মিটিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি। মেহেদী হাসান ২৩ বলে ৩ ছক্কায় করেন ৩৪ রান। ফজলে মাহমুদ ৩২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেন ৩১ রান। শেষ দিকে আর কেউ দলের রান বাড়াতে পারেননি।
কামরুল ইসলাম রাব্বী ৪ ওভারে ২১ রানে নেন ৪ উইকেট। মিরাজ পেয়েছেন ২টি। দুই পেসার তাসকিন ও রাহীর পকেটে গেছে ১টি করে উইকেট।
তামিম ইকবাল পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।