শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

১২ দিনেই এক বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স

রিপোর্টারের নাম / ২০৫ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারির চলমান সংকটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাসের ১২ দিনেই ১০৬ কো‌টি ৬০ লাখ (এক দশমিক শূন্য ৬৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ৮৪ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ আট হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের ইতিহাসে একক মাসের মাত্র ১২ দিনে এর আগে কখনো এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জুলাই থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮৯ কো‌টি ১০ লাখ ডলার (৯.৮৯১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার।

যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এই একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬৮৯ কো‌টি‌ ৭০ লাখ (৬.৮৯৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে সারাবিশ্ব। এই সময়টাতে রেমিট্যান্সযোদ্ধারা কষ্ট করে অর্থ প্রেরণ করে আমাদের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে চালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশ থেকে বৈধপথে রেমিট্যান্স তথা প্রবাসীআয় পাঠালে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এর পরপরই রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করলে অনেকই বলা শুরু করলেন এগুলো ঠিক নয়, থাকবে না, টেকসই নয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস যখন অসাধারণ এবং অবিশ্বাস্য গতিতে রেমিট্যান্স অর্জিত হচ্ছিল তখন কর্মীরা তাদের কাজকর্ম বা ব্যবসা গুটিয়ে দেশে ফিরে আসছেনসহ বিভিন্ন মন্তব্য করতে শুরু করলেন। সেই সমস্ত লোকের সাথে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও তাল মিলিয়ে বলতে শুরু করল এ প্রবাহ ঠিক নয়, টেকসই হবে না।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রণোদনা ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির যে প্রবাহ, তাতে তাদের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং আমরা যে সঠিক ছিলাম আরও একবার তা প্রমাণিত হলো। চলতি নভেম্বরের ১২ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীআয় এসেছে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি, যা দেশের ইতিহাসে মাত্র ১২ দিনে কখনও অর্জিত হয়নি। গড়ে প্রতি মাসে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপরে প্রবাসী আয় অর্জন এটি ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেল ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর