মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

বরিশালে নির্মিত হবে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

রিপোর্টারের নাম / ১৬৮ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০

দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাচ্ছে নতুন ভবন। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নির্মাণ হচ্ছে প্রায় ৯৪ হাজার শ্রেণিকক্ষ, ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাস, শিক্ষক-কর্মচারী ডরমেটরি ও কোয়ার্টার।

 

 

বর্তমানে এসব ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। আর এই নির্মাণকাজ শেষ হলেই বদলে যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো।

 

 

বিষয়টিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রকৌশলীরা জানান, ‘সরকারের লক্ষ্য আগামী ১০ বছরের মধ্যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরাজীর্ণ ভবন থাকবে না।

 

সে লক্ষ্য পূরণে করোনার মধ্যেও আমরা নিয়মিত কাজ করেছি। এ জন্য এডিপির ৯৭ শতাংশ অর্থ আমরা ব্যয় করতে পেরেছি। আমাদের যে ১০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ চলমান, আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেহারা বদলে যাবে।

 

 

এ দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ৩১টি প্রকল্প ও পাঁচটি কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

 

 

এই প্রকল্পের আওতায় ৮৪ হাজার ৬৪৪টি শ্রেণিকক্ষ, ৯৩টি ছাত্রাবাস, ১৫১টি ছাত্রীনিবাস, ছয়টি টিচার্স ডরমেটরি, দুটি স্টাফ ডরমেটরি, চারটি টিচার্স কোয়ার্টার ও চারটি স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে চার লাখ ৩৯ হাজার ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রীর উন্নত ও আধুনিক পরিবেশে পাঠ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

 

এছাড়া ১২ হাজার ৮২০ জন ছাত্র ও ২১ হাজার ৪০২ জন ছাত্রী, ৪০৮ জন শিক্ষক ও ১৭০ জন কর্মচারীর আবাসন সমস্যার সমাধান হবে। এসব কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

 

 

অন্যদিকে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে চলমান ৯টি প্রকল্প ও পাঁচটি কর্মসূচির ব্যয় ৩৯ হাজার ২৯১ কোটি টাকা।

 

এসব প্রকল্পের আওতায় ৯ হাজার ৪৪৯টি শ্রেণিকক্ষ, ৩০টি ছাত্রাবাস, ৪০৭টি ছাত্রীনিবাস, ৩৬৩টি টিচার্স ডরমেটরি, আটটি টিচার্স কোয়ার্টার, ৩৮টি স্টাফ কোয়ার্টার, ৩৪টি প্রশাসনিক ভবন, তিন হাজার ৭৩৬টি ওয়ার্কশপ, দুই হাজার ৯৪০টি ল্যাবরেটরি নির্মাণ হচ্ছে।

 

 

এতে চার লাখ ৭৪ হাজার ৩৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী আধুনিক পরিবেশে পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবে। ৯ হাজার ১০০ জন ছাত্র, ৭৬ হাজার ৬৫০ জন ছাত্রী, দুই হাজার ৫৪০ জন শিক্ষক, ৩৬০ জন কর্মচারীর আবাসন সমস্যার সমাধান হবে।

 

এরই অংশ হিসেবে সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও রংপুরে হচ্ছে চারটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুরে হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।

 

এছাড়া ৪২৯ উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ২৩ জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে।

 

পাশাপাশি প্রতি অর্থবছর স্থানীয় সংসদ সদস্যের চাহিদাপত্রের ভিত্তিতে প্রত্যেক সংসদীয় এলাকায় পাঁচটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন বা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

 

সে হিসাবে প্রতি অর্থবছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর