করোনার দ্বিতীয় ঢেউ : ইংল্যান্ডে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ
দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় ইংল্যান্ডে স্থানীয় লকডাউনের তিন স্তরের কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সোমবার হাউস অব কমন্সে এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি; যা আগামী বুধবার থেকে কার্যকর হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন আরোপ করা সঠিক কোনও সমাধান নয়। কেন দ্বিতীয় দফায় দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা সম্ভব নয়; সেব্যাপারেও ব্যাখ্যা দেন তিনি। লকডাউনে দেশের অর্থনীতি এবং শিশুদের স্কুলে যেতে না পারায় শিক্ষার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি না, এটা কোনও সঠিক সমাধান।
চলমান করোনা মহামারিতে জীবনাচরণের পরিবর্তনে মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রমাণ মিলেছে বলে জানান তিনি। তিন স্তরের বিধি-নিষেধের ব্যাপারে তিনি বলেন, কিছু অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার বিধি নিষেধ আনা হবে; যা দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে কার্যকর হতে পারে।
মাঝারি মাত্রার এই বিধি-নিষেধে করোনা মোকাবিলায় দেশের বর্তমান পদক্ষেপ এবং ছয় জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা এবং রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে।
এছাড়া উচ্চ মাত্রার বিষি-নিষেধের আওতায় এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে সংক্রমণ রোধের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আওতায় কোনও পরিবারের ঘরোয়া অনুষ্ঠানে প্রতিবেশিরা অংশ নিতে পারবেন না।
এছাড়া স্থানীয় বিধি-নিষেধের আওতায় যেসব এলাকা রয়েছে; সেসবের বেশিরভাগই সর্বোচ্চ মাত্রার বিধি-নিষেধের অন্তর্ভূক্ত হবে। এতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি বাগানেও জমায়েত হতে পারবেন না। এসব এলাকায় সব ধরনের বার এবং পাব বন্ধ থাকবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ লাখ ৮২ হাজার ২৫৪ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৭৮ লাখের বেশি।
করোনার প্রথম ধাক্কায় যুক্তরাজ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখের বেশি।