শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

ফেব্রুয়ারির এসএসসি পরীক্ষা আয়োজন অনিশ্চিত

রিপোর্টারের নাম / ২১৬ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০

দেশে দ্বিতীয় ধাপে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। মূলত শীতকালজুড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রকোপ চলমান থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর এতে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, করোনা দেশের অর্থনীতির ক্ষতির পাশাপাশি চরম ক্ষতি করেছে শিক্ষা খাতের। প্রায় এক বছর নষ্ট হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে সরকার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইন ক্লাস, টেলিভিশন পাঠদান চলমান রাখলেও সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ। সামনে করোনার দ্বিতীয ঢেউ আসলে পাঠদানের ক্ষতির পাশাপাশি এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সংশয় তৈরি হবে।

সাধারণত বছরের জুলাই মাসে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী আর অক্টোবরে নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হয়। আর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী বা অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচনী পরীক্ষা হয়। এরপর নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা হয়। ইতোমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে। আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও হয়নি। একাদশ শ্রেণিতে কলেজ পর্যায়ে নেয়া বিভিন্ন ক্লাস টেস্ট আর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এসব শিক্ষার্থীকে ‘অটো পাস’ দেয়া হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। করোনাকালে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান বন্ধ। সরাসরি পরীক্ষা বা ক্লাস টেস্ট নেয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা ও ক্লাস সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়া বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

জানা গেছে, নভেম্বরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবে, তখন সংক্রমন আরও বাড়তে পারে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেনম দ্বিতীয় ঢেউ এলে, সংক্রমণ বাড়লে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সে হিসেবে এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা অনিশ্চিত। তাছাড়া শীতকালে করোনার প্রকোপ থাকলে সে হিসেবে নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, যেহেতু শীত প্রধান দেশে এর প্রকোপ বেশি। আমাদের দেশে শীত শুরু হয় মূলত নভেম্বরের শেষ থেকে। ডিসেম্বর থেকে এর প্রকোপ বাড়তে থাকে। এ সময়ের মধ্যে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে। আর করোনা বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সুযোগ নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষার্থীদের সশরীরে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা নেয়া যাবে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর