শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

নভেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা, কমতে পারে নম্বর

রিপোর্টারের নাম / ১৮০ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এ পরীক্ষা আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। তবে পূর্ণ নম্বর কমিয়ে সব বিষয়েই পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিদিন একটি বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এ ব্যাপারে বোর্ডগুলোকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজনে দুটি বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। প্রতি বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর কমানোর প্রস্তাব আছে। সেক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক নেই সেগুলোতে বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল উভয় অংশের পূর্ণমাণ থেকে ৫০ শতাংশ করে কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যেগুলোতে ব্যবহারিক আছে সেগুলোতে ব্যবহারিক নম্বর ঠিক রেখে অবশিষ্ট অংশের (এমসিকিউ ও সৃজনশীল) নম্বর সমন্বয় করে পূর্ণ নম্বর ৫০ শতাংশ কমানো হবে।

অপর প্রস্তাবে কেবল এমসিকিউ কিংবা সৃজনশীল অংশের যেকোনো একটির পরীক্ষা নেয়ার বিষয় আছে। এ ক্ষেত্রেও ব্যবহারিকের নম্বর ঠিক রেখে বাকি অংশের ওপর নম্বর সমন্বয় করা হবে। করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিজ নিজ কলেজকে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে মন্ত্রণালয় যে প্রস্তাব গ্রহণ করবে সেটি বোর্ডগুলো বাস্তবায়ন করবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় কমানোর বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, পরীক্ষার খসড়া রুটিন এখন পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে তারিখ ঘোষণার পর পরীক্ষার সময়সূচি তৈরি করা হবে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বোর্ড চেয়ারম্যানদের বৈঠকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে মতামত দেয়া হয়।

মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মাথায় রেখে নতুনত্ব আনার চিন্তা রয়েছে। সেটি হচ্ছে, দৈনিক একটির বেশি পরীক্ষা না রাখা এবং প্রত্যেক দিনই পরীক্ষা নেয়া। স্বাভাবিক সময়ে মূল বিষয়গুলোর পরীক্ষার পরে বিভাগভিত্তিক সকালে ও বিকেলে দুটি করে পরীক্ষা রাখা হতো। ফলে সকালে বিজ্ঞানের পরীক্ষা হলে বিকেলে মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষার পরীক্ষা নেয়া হতো। একটি পরীক্ষার পরে কেন্দ্র পরিষ্কারের বিষয়টি সামনে রেখে দৈনিক একটি রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে ধর্মীয় ও সাপ্তাহিক ছুটি বাদে অন্যসব দিন পরীক্ষা নেয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, পরীক্ষার কেন্দ্র ও সিটপ্ল্যান ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এক বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থীদের ‘জেড’ আকারে বসানো হবে। সে হিসেবে প্রথম বেঞ্চে একপাশে একজন বসালে আরকেজনকে দ্বিতীয় বেঞ্চে অপর পাশে বসানো হবে। তৃতীয় বেঞ্চে বসানো হবে দ্বিতীয় বেঞ্চের বিপরীত পাশে। এই প্রক্রিয়ায় আসন ব্যবস্থা করতে গিয়ে কেন্দ্র সংখ্যা ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি কেন্দ্রে গড়ে ৬৫০ জন করে পরীক্ষার্থী আছে।

আরেকজন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, করোনা মহামারি শুরুর আগে সব সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র ছাপানো শেষ করে মাঠপর্যায়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। শুধু মার্চের শেষ সপ্তাহে মাদরাসা বোর্ডের প্রশ্নপত্র ছাপানো শেষ হয়। লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রশ্নপত্র এতদিন প্রেসে সংরক্ষিত ছিল। এ সপ্তাহে প্রশ্নপত্র পাঠানো শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ছাপানো প্রশ্নেই পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি সরকার আংশিক নম্বরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সকালে কেন্দ্র সচিবদের নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হবে। সে অনুযায়ী তারা শিক্ষার্থীদের অবহিত করবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক  বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে বোর্ডগুলো সার্বিকভাবে প্রস্তুত। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মঙ্গলের বিষয়টি সামনে রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলেই সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এদিকে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন করা হলে এই ব্যাচ ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। তাই পরীক্ষা হবে। কিন্তু বিষয় কমানো হবে না পূর্ণ নম্বর কমবে– সে রকম একাধিক বিকল্পই আছে। পরীক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর