শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে বদলে গেছে, শেখ হাসিনার কারণে আজ এই বদলে যাওয়া। কোনো জাদুর কাঠিতে নয় বরং শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে হয়েছে। শেখ হাসিনার কারণে আজ বাংলাদেশ গর্বিত।’
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘পিতা থেকে কন্যা : স্বাধীনতা থেকে অর্থনৈতিক মুক্তি’ ও ‘নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা গর্বিত বাংলাদেশ’ বই দুটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ‘নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা গর্বিত বাংলাদেশ’ বইয়ের সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ইয়াসিন কবীর জয়, প্রচ্ছদশিল্পী শাহরিয়ার খান এবং ‘নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা গর্বিত বাংলাদেশ’ বইয়ের সম্পাদক কবি আসলাম সানী, প্রকাশক আ ন ম মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, কবি লুৎফর চৌধুরী, সেলিনা সেলিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলছি। আমরা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত দেশ রচনা করব। ইতোমধ্যে ক্ষুধাকে আমরা জয় করেছি। বাংলাদেশ এখন খাদ্যের উদ্বৃত্তের দেশ। আমরা দারিদ্র্যকেও জয় করার পথে। দারিদ্র্য কমে ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মানব উন্নয়নসহ সব সূচকে পাকিস্তান থেকে অনেক এগিয়ে। পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আক্ষেপ করে। এখানেই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সার্থকতা। ভারতও স্বীকার করে মানব উন্নয়নসহ সামাজিক সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছেন। হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে স্লোগান শিখিয়েছিলেন, বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর। তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা- স্লোগানে উজ্জীবিত করে। যে জাতি হাজার হাজার বছরে ধরে শাসিত হয়েছে, নিজে নিজেদের শাসন করার অধিকার পায়নি। সেই জাতিকে তিনি স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ও এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে হাজার হাজার বছর যে জাতি পরাধীন ছিল সে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে। আগে আমরা বিশ্ব সংবাদ হতাম যখন লঞ্চডুবি, ট্রেন দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনা হতো। এখন বিশ্ব সংবাদ হই- বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতকে ফুটবলে হারায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আফ্রিকায় গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীদের আহ্বান জানায় যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে শেখো এবং জাতিসংঘের সভাপতি যখন বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন। স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাংলাদেশ ও জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়ার। বাংলাদেশকে তিনি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে হত্যার কারণে বঙ্গবন্ধু সে স্বপ্নপূরণ করে যেতে পারেনি। আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। সে কারণে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।’