শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

স্বরূপকাঠীতে চাকুরি দেয়ার নামে আ’লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম / ২৯৩ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলায় জাহিদুল ইসলাম (২৬) নামে এক বেকার যুবককে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক পদে চাকরী দেয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেছারাবাদ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সোহাদল রজ্জব আলী বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সাহারা বেগমের বিরুদ্ধে।
সাহারাকে টাকা দিয়ে প্রায় তিন বছরেও জাহিদুল চাকুরী না পেয়ে টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন ধরণা দিচ্ছেন সাহারার কাছে বলে অভিযোগ ওই যুবকের। নানা অনুনয় বিনয় করেও জাহিদুল পাওনা টাকা না পেয়ে উল্টো ওই যুবক সাহারার কাছ থেকে হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছেন। অবশেষে বাধ্য হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর ওই যুবক নেছারাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী সাহারা বেগম উপজেলার বছরাকাঠি গ্রামের ফিরোজ হাওলাদারের স্ত্রী।
বরিশাল জেলার কাউনিয়া থানার সাপানিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম অভিযোগে জানান, তিনি গত ২০১৮ সালে নেছারাবাদ উপজেলার কৌরিখাড়া গ্রামে মামাত বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন। সেখানে শিক্ষিকা সাহারার সাথে তার পরিচয় হয়। সাহারার সাথে পরিচয়ের সুবাধে জাহিদুল ইসলাম তার কাছে বেকারত্বের কথা খুলে বলে। এসময় সাহারা বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে জাহিদকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। সাহারাকে টাকা দেয়ার তিন বছর পরেও চাকরী না পেয়ে টাকার জন্য তার কাছে অনুনয় বিনয় করতে থাকেন। প্রথম দিকে মিষ্টি কথা বলে জাহিদকে বিদায় দিলেও পরে উগ্র আচরণ করতে শুরু করেন সাহারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারি শিক্ষক সাহারা বলেন, একটা কাজের ব্যাপারে জাহিদ তাকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু সে কাজটি হয়নি বিধায় তাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে। এখন মাত্র দেড় লক্ষ টাকা তার কাছে জাহিদের পাওনা রয়েছে। আর সে টাকা দিতে একটু দেরি হওয়ায় জাহিদ তার সম্পর্কে  নানান বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে।
এমবিএ পাশ করা জাহিদ জানান, সে চাকুরির আশায় স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্নভাবে ধারকর্য করে সাহারাকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। সাহারাকে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়ে জাহিদ এখন দেনার বোজা মাথায় নিয়ে পাওনাদারের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর