মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, বিপাকে বরিশালের মৎস্য ব্যবসায়ীরা

রিপোর্টারের নাম / ২১৩ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

অনলাইন ডেস্কঃ সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ কিন্তু এসব ইলিশ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বরিশালের ব্যবসায়ীরা। নোনা পানির হওয়ায় একদিকে যেমন তা দীর্ঘদিনের জন্য সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না, তেমনি খুব একটা চাহিদা না থাকায় বিক্রি করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।

আড়তদাররা বলছেন, এসব ইলিশের বেশিরভাগই আগে চোরাই পথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চালান হতো। বরিশালেরই কিছু অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী আড়তদারদের কাছ থেকে সাগরের ইলিশ সংগ্রহ করে সীমান্তে চালান করত। কিন্তু প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়াকড়ির কারণে পাচার করা যাচ্ছে না ইলিশ।

মাত্র ক’দিন আগেও বরিশালে সাগরে ধরা পড়া ইলিশের পাইকারি দর ছিল প্রতি মণ ৩৮ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার তা নেমে আসে ২৮-৩০ হাজারে।

বরিশাল ইলিশ মোকামের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, ভরা মৌসুম হলেও প্রায় ১ মাস ধরে দফায় দফায় নিম্নচাপ আর সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরতে যেতে পারেননি জেলেরা। বর্তমানে আবহাওয়া কিছুটা শান্ত হলেও অভ্যন্তরভাগের নদ-নদীতে মিলছে না ইলিশ। মিঠা পানিতে না মিললেও নোনা পানির সাগরে ক’দিন ধরেই ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ।

বরিশালের ইলিশ মোকামে বৃহস্পতিবারও প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মণ ইলিশ নিয়ে এসেছেন সাগরের জেলেরা। এর আগের ৩ দিনও একইভাবে সাগরের ইলিশ এসেছে মোকামে। ইলিশের প্রাচুর্যের কারণেই মূলত মণপ্রতি গড়ে প্রায় ৮ হাজার টাকা কমেছে দাম।

খলিলুর রহমান এ কথা বললেও সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য জানান ইলিশ মোকামের আরেক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন। তিনি বলেন, স্বাদের পার্থক্যের কারণে সাগরের ইলিশের চাহিদা খুব একটা নেই। সবাই চায় বেশি স্বাদের মিঠা পানির মাছ। ফলে সাগর থেকে আসা এই মাছ নিয়ে বেশ ঝামেলায় আছি আমরা।

আরেকটা সমস্যা হচ্ছে-সাগরের ইলিশ বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় না। বরফ দিয়ে রাখা হলে কিছুদিন পর এ মাছ খানিকটা লালচে হয়ে যায়। মিঠা পানির ইলিশের ক্ষেত্রে এটা হয় না।

মোকামের ব্যবসায়ী বারেক সিকদার বলেন, এখনও লোকাল ইলিশের দাম প্রতি মণ (কেজি সাইজ) ৪৮-৫০ হাজার টাকা। অথচ সাগরের ইলিশের দাম নেমে এসেছে প্রতি মণ ৩০ হাজার টাকায়।

বরিশাল ইলিশ মোকামের ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, আগে সারা বছরই ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি হতো বাংলাদেশের ইলিশ। মূলত সাগরের ইলিশই বিদেশে পাঠাত এখানকার রফতানিকারকরা। রফতানি বন্ধ হলে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ঠিকই চোরাই পথে ভারতে পাঠাত ইলিশ। এতে সাগরের ইলিশের চাহিদা যেমন ছিল জমজমাট, তেমনি দামও ছিল আকাশছোঁয়া।

বরিশাল ইলিশ মোকামের ব্যবসায়ী সিকদার ফিশ ট্রেডিংয়ের মালিক জহির সিকদার বলেন, বরফ দিয়ে ইলিশ সংরক্ষণ প্রশ্নেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দাদন দেয়া ট্রলার মাছ নিয়ে এলে রাখতেই হয় আমাদের।

এই সবকিছু মিলিয়ে একদিকে যেমন হু-হু করে কমছে সাগর থেকে আসা ইলিশের দাম, তেমনি একই হারে ইলিশ আসতে থাকলে লোকসান কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে টেনশনে আছেন সবাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর