শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন

সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে লাভবান শুধু ইন্টারনেট সেবাদাতারা

রিপোর্টারের নাম / ১৫০ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট কমলেও গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমছে না। সেবাদাতাদের যুক্তি, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের পর বাড়তি ২০ শতাংশ ভ্যাটের বোঝা চাপে আইএসপি প্রতিষ্ঠানের উপর। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন সিদ্ধান্তে লাভবান হচ্ছে শুধু ইন্টারনেট সেবাদাতারাই। রাজস্ব হারাবে না সরকারও।

যে কোন পণ্য বা সেবার উপর সবোর্চ্চ ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেয় সরকার। তবে ব্যতিক্রম ছিলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট খাত। গেল অর্থবছরে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের পর ব্যান্ডউইথ কেনা এবং গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত-দুই পর্যায়ের প্রতিটিতে ভ্যাট হার পাঁচ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ শতাংশে। তবে গ্রাহকদের পাঁচ শতাংশ ভ্যাটহার অপরিবর্তিত ছিলো। ফলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় সর্বমোট ৩৫ শতাংশ ভ্যাটের ৩০ শতাংশ দিতো আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ অবস্থায় জটিলতা নিরসনে গেল জুলাইয়ে ইন্টারনেটের দাম বৃদ্ধি ও সাময়িক সেবা বন্ধের হুমকি দেয় আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো। দেড় মাস পর ইন্টারনেট সেবায় সব পর্যায়ে পাঁচ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহারের কথা জানায় এনবিআর।

আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি থেকে যে ৩০ শতাংশ ভ্যাট দেয়া হতো তার জন্য আমরা সরকার থেকে কোনো রেয়াদ পেতাম না। প্রান্তিক পর্যায়ের কোনো গ্রাহকের ইন্টারনেটের মূল্য কমছে না।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন সিদ্ধান্তে সব মিলিয়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট পাবে সরকার। ফলে কমছে না রাজস্ব আয়ও।

বিশ্লেষক সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘সরাসরি গ্রাহকের কাছে পড়তো ২০ শতাংশ। এখনও তাই। কাজেই সরকার এখানে কোনো রাজস্ব ছাড় দেয়নি।’

বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি গ্রাহককে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে দুই হাজার আইএসপি প্রতিষ্ঠান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর