বৈরী আবহাওয়ায় আবারও নিম্নাঞ্চল ভোলার ১০ ফুট পানির নিচে শহরতলীও প্লাবিত
বৈরী আবহাওয়ার কারণে আবারও ভোলার নদ-নদী উত্তাল হয়ে পড়েছে। বুধবার বিকালে মেঘনার পানি বিপদসীমার ১ শত ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা ছিলো গত ৫ আগষ্ট যে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তার চেয়েও বিগত দিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
সদর উপজেলার ইলিশা, রাজাপুর, ধনিয়া, কাচিয়া, শিবপুরসহ দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাঁধের উপর দিয়ে পানি লোকালয়ে ডুকে পড়েছে।
জেলার ঢালচর, চর নিজাম, কাজীর চরসহ নি¤œাঞ্চলগুলো ৫ থেকে ১০ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা শহরের নিকটবর্তী এলাকা রাজাপুর, দক্ষিণ চরপাতা, নাছির মাঝি এবং তুলাতুলী এলাকায় পানি ডুকে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
এবারের বর্ষায় এসব এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো ভেঙ্গে জেলা শহরে পানি ডুকতে পারে এমন আশঙ্কার কথা আগেই জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোকে) জানানো হয়েছে। কিন্তু পাউবো কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এখন ভোলা শহর রক্ষা বাঁধসহ ভোলাবাসী চরম হুমকির মুখে পড়েছে দাবী করে জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝূঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, এক দিকে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির চাপ। অপরদিকে পূর্ণিমা সেই সাথে যুক্ত হয়েছে সাগরে সৃষ্টি নিম্মচাপ, ফলে মেঘনা নদীতে বুধবার বিকালে জোয়ারের পানি বিপদ সীমার প্রায় ৪.৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি স্পটে বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলেও তিনি জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।







