রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

বরিশালে করোনা বিজয়ী পুলিশদের সংবর্ধনা দিলেন বিএমপি কমিশনার

রিপোর্টারের নাম / ১৫৯ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০

বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান, বিপিএম(বার) মহোদয়ের সভাপতিত্বে আজ বুধবার ইংরেজি ( ০৮জুলাই) তারিখ সকাল ১০ ঘটিকায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স এর ড্রিল সেডে করোনা বিজয়ী ৫২ পুলিশ সদস্যকে কাজে যোগদানের পূর্বে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিএমপি কমিশনার, মোঃ শাহাবুদ্দিন খান, বিপিএম(বার) মহোদয় করোনা যুদ্ধে বিজয়ী অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিএমপি, জনাব প্রলয় চিসিম মহোদয় ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার রাসেলসহ সকল করোনা বিজয়ী পুলিশ সদস্যদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের হাতে উপহার হিসেবে সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দিয়ে করোনা যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী প্রত্যেক শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অসামান্য অবদানের জন্য আমরা যেমনি গর্ববোধ করি; তেমনি বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর সময় বাংলাদেশ পুলিশ যে মানবিক অবদান রেখে চলছে তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ তথা এদেশের আপামর জনগণ গর্ববোধ করে।

মুজিববর্ষে বাংলাদেশ পুলিশের যে অঙ্গীকার ছিল, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় আমাদের সেই জনতার পুলিশ হয়ে ওঠা অনেকাংশেই সম্ভব হয়ে উঠেছে। আমাদেরকে এ ধারা অব্যাহত রেখে নিজের কাছে, নিজের পরিবারের কাছে, নিজের দেশবাসীর কাছে, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ পুলিশের একজন গর্বিত সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। পারিবারিক বিপর্যয় ঘটতে পারে জেনেও আমরা বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা যেভাবে পেশাদারিত্বের বাহিরে গিয়েও মানবিক পুলিশিং বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রতিটি সদস্য নিজেদেরকে অকাতরে দেশ সেবায় বিলিয়ে দিয়েছি, এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এখান থেকে আর ফিরে আসা যাবেনা। তোমরা যারা করোনা যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে এসেছ, তাদের কাছে আমার আহবান থাকবে করোনা কালীন সময়ে তোমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটা সবার সাথে শেয়ার করবে। করোনা যুদ্ধে যারা বিজয়ী হয়েছে, যাদের দেহে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। তারা তাদের রক্তের প্লাজমা দিয়ে অন্যকে বাঁচানোর জন্য সর্বদা মানব সেবায় এগিয়ে আসবে।

এছাড়াও তিনি সবাইকে সতর্ক করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ও আইইডিসিআর কর্তৃক ঘোষিত যে স্বাস্থ্য বিধিমালা বা গাইডলাইন সেগুলো মেনে চলার জন্য পুনরায় সবাইকে সতর্ক করেন এবং যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সুতরাং আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন করোনা বিজয়ী অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, প্রলয় চিসিম মহোদয়। তিনি তার অভিজ্ঞতা কথা সবার সাথে শেয়ার করে সবাইকে বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে করোনা জয়ী পুলিশ সদস্যরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে বলেন, তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায়ে মানসিকভাবে নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের ডায়নামিক নেতৃত্বে, পিতৃসুলভ ভালোবাসায়, সঠিক দিকনির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে আল্লাহর অশেষ রহমতে তারা সফলতার সহিত করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে পেরেছেন। তারা বলেন, আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ কমিশনার মহোদয় সহ অন্যান্য সিনিয়র স্যারগন তাদেরকে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করাসহ তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তাদের কাছে চিকিৎসা সামগ্রী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।

পুলিশ কমিশনার তাদেরকে করোনা কালীন সময়ে প্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন। তারা যেন মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে সেজন্য তাদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেককে কাউন্সিলিং করেছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে পুলিশ কমিশনার মহোদয় নিজে প্রতিনিয়ত কথা বলে আক্রান্ত সদস্য সহ তার পরিবারের সকল সদস্যের মনোবল চাঙ্গা রেখেছেন। এক কথায় একজন পিতা তার সন্তানকে সকল ধরনের আপদ-বিপদ থেকে যেভাবে আগলে রাখেন, ঠিক সেইভাবে মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগ থেকেই পুলিশ কমিশনার মহোদয় আমাদের সকল সদস্যদের কে আগলে রেখেছেন।উল্লেখ্য যে, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২১৫ জন সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৮৫ জন। যার ভিতরে ইতিপূর্বে ৩৪ জন সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল এবং আজ ৫২ জন সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার সদর দপ্তর বিএমপি আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ, উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ বিএমপি মোঃ মোক্তার হোসেন পিপিএম সেবা, উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর বিএমপি মোঃ খাইরুল আলম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফোর্স বিএমপি মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন, সহকারি পুলিশ কমিশনার কোতোয়ালী মডেল থানা বিএমপি রসেল আহমেদ, সহকারী পুলিশ কমিশনার স্টাফ অফিসার এন্ড কাউনিয়া জোন মোঃ আঃ হালিম সহকারি পুলিশ কমিশনার ফোর্স এন্ড ট্রাফিক বিএমপি মোঃ মাসুদ রানা সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর