শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

পটুয়াখালীতে তৈরী হচ্ছে ১৩ টি দৃষ্টি নন্দন ব্রিজ

রিপোর্টারের নাম / ২৩৩ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০

সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কে এখন পটুয়াখালী জেলা। কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র, পায়রা বন্ধর, পায়রা ব্রিজ, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শেখ হাসিনা সেনানীবাস, সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনসহ একাধিক মহাপ্রকল্পের কাজ চলছে এ জেলায়। এরই ধারাবাহিকতায় পুরাতন ১৯ জেলার একটি পটুয়াখালী জেলা হলেও তাতে তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সরকারের এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারনে জেলা শহরটি এখন অনেকটাই ব্যস্ততম একটি শহরে পরিনত হয়েছে।

 

এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে অদূরেই থাইল্যান্ড কিংবা সিঙ্গাপুরে আদলে একটি উন্নত শহরে পরিনত হবে পটুয়াখালী। এমন ভাবনা সামনে রেখে পটুয়াখালী জেলা শহরের সাথে এর আশ পাশের ইউনিয়ন গুলোকে আরও কাছাকাছি সংযুক্ত করতে, শহরের জলাবদ্ধতা করতে খালগুলিকে প্রবাহমান করতে বেশ কিছু আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইড)।

 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আইবিআরপি প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শতবর্ষ পরিকলল্পনাকে বাস্তরে রুপ দিতে গ্রামেও শহরের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং খাল ও জলাধার গুলোকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেই আমরা এই ব্রিজ গুলো নির্মাণ করছি। আশা করা যায় ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এসব ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারবো।

 

পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছত্তার জানান, পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নকে জেলা সদরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করার পাশপাশি জেলার ঐতিহ্যবাহী বহালগাছিয়া খালকে আবারও তার স্বাভাবিক অস্থায় ফিরিয়ে আনতে সদর উপজেলার পেছনের বাঁধটি অপসারন করে সেখানে ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। একই ভাবে বহালগাছিয়া খালের উপরনির্মিত গরুর বাঁধ অপসারন করে সেখানেও ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রিজ

 

নির্মাণ করা হচ্ছে। যা অনেকটা হাতিরঝিলের ব্রীজ গুলোর মত সকলকে আকর্ষণ করবে। এছাড়া মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের সাথে পটুয়াখালী পৌর শহরকে সংযুক্ত করতে কুরিরখাল এলাকায় একটি ৪৫ মিটারের ব্রিজ নির্মিত হবে। এর ফলে জেলা শহরের সাথে ছোটবিঘাই, বড়বিঘাই, মরিচবুনিয়া এবং মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নতুন একটি সংযোগ স্থাপতি হবে।

 

একই ভাবে পটুয়াখালী পৌরসভার সাথে কালিকাপুর ইউনিয়নের নতুন সংযোগ স্থাপন এবং ফুলতলা খালটি প্রবাহমান করতে বাঁধ অপসারন করে সেখানে ৪৫ মিটারের একটি ব্রিজ নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্ব বিবেচনা করে মোট ১২ টি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ইতি মধ্যে টেন্ডার আহবান করে যাবতীয় কার্য সম্পাদন করা হচ্ছে।

 

এ সকল ব্রিজ নির্মিত হলে এই অঞ্চলের মানুষের সড়ক যোগাযোগ যেমন সহজ হবে পাশপাশি খাল গুলো আবারও তার স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরে পাবে। জলাবদ্ধতা দুর হবে পটুয়াখালী জেলা শহরের। খালের দখল হওয়া জমি পুনরুদ্বার করে কৃষি কাজে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর