শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন

বড় ধরনের ভূমিকম্প ঝুঁকিতে পুরো বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল

রিপোর্টারের নাম / ১২১ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বুধবার, ১২ জুন, ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:: কোনো স্থানের ভূ-কম্পনের জন্য ফল্ট লাইন এবং টেকনিক স্ট্রেস ফিল্ড গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। সাধারণত বড় ধরনের ভূকম্পন হয়ে থাকে প্লেট বাউন্ডারির মধ্যে। যদিও বাংলাদেশ প্লেট বাউন্ডারির মধ্যে নয়, তথাপি ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান ও বিন্যাসের স্বকীয়তা বাংলাদেশকে ভূমিকম্প মণ্ডলের আশপাশেই ফেলেছে। বাংলাদেশকে ভূ-কম্পনের ৩টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জোন হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থান যেমন- সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার উল্লেখযোগ্য। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সর্বাপেক্ষা কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত।

১৯৭৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যতবার পাঁচ বা তার বেশি মাত্রায় ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে, তার প্রায় সব কটির উৎপত্তিস্থল সিলেট, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার এলাকায়। এসব অঞ্চলে ভবিষ্যতে আরও বেশি মাত্রার ভূ-কম্পনের পূর্বাভাস উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

আসাম-বাংলা অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল ১৮৯৭ সালের ১২ জুন। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম, মেঘালয়ের সীমান্ত সংলগ্ন সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলকে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট, ময়মনসিংহ এবং রংপুর,ঢাকা, কুমিল্লা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কিছু অংশ। এর মধ্যে সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। একইভাবে ময়মনসিংহ বিভাগের পাঁচটি জেলাও ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঢাকা বিভাগের মধ্যে টাঙ্গাইল, গাজীপুর, নরসিংদী জেলার অংশ বিশেষ, পুরো কিশোরগঞ্জ জেলা এবং কুমিল্লা বিভাগের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার উত্তরাংশ।

মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা,চাঁদপুর, ফেনী,নোয়াখালী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অংশ বিশেষ, চট্টগ্রাম,বান্দরবান, কক্সবাজার জেলা।

ভূমিকম্পের কম ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের পুরো খুলনা ও বরিশাল বিভাগ।

*লাল চিহ্নিত এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ

* গোলাপি চিহ্নিত এলাকা মধ্য ঝুঁকিপূর্ণ

* হলুদ চিহ্নিত এলাকা কম ঝুঁকিপূর্ণ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর