বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

অভিবাদন, হে শতবর্ষী মুজিব

রিপোর্টারের নাম / ১০৫ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

অভিবাদন হে মুজিব। অভিবাদন হে চিরঞ্জীব। তব দুয়ারে মস্তক ঠুকিয়ে মরি, মুজিব আমাদের ভাই। মুজিবের মরণ নাই। তুমি এসেছিলে শুদ্ধতা ভরিয়ে, যেথায় মুক্তি ছিল মুগ্ধতা ছড়িয়ে।

মুজিব মানে বিস্ময়। মুজিব মানে চিরঞ্জয়। বাঙালির এক অমোঘ বিশ্বাসের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘোর সংকটে বেলা যখন অস্ত, তোমার পরশেই তা ফের উদীত। তুমি মুক্ত। তুমিই মুক্তি। তোমার চরণে ঠেকাই ভক্তি।

আজ ১৭ মার্চ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। হাজার বছরের বিদ্রোহী আগুনের সন্নিবেশ ঘটিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জন্মেছিলেন খোকা নামের সেই ছেলেটি। যার জন্ম দিবসে ধরণীতে সূর্য ছড়িয়েছিল মুক্তির আভা। যার জন্ম মানেই শোষিতের জয়গান আর শোষকের প্রস্থান।

শেখ মুজিবুর রহমান। কোনো সীমারেখায় আটকে যে নামের বন্দনা করার জো নেই। তিনি জন্মেছিলেন বাঙালির মুক্তির তাগিদেই। জাতিসত্তার প্রশ্নেই নয়, তিনি এসেছিলেন মানবমুক্তির কেতন উড়িয়ে।

১৯২০ সালের এদিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ লুৎফুর রহমান ও সায়রা বেগমের ঘরে জন্ম নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুল ও কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়াশোনা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন। ১৮ বছর বয়সে বেগম ফজিলাতুন্নেসার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়ে- শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তিন ছেলে- শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।

কৈশোর থেকেই তার রাজনৈতিক প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে থাকে। রাজনীতির সিঁড়িতে পা রেখে মানবমুক্তির ধ্যান-জ্ঞানে মত্ত হন মহান এ নেতা। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে অসাধারণ নেতৃত্ব দিয়ে পাকিস্তানের জুলুম আর বঞ্চনা থেকে মুক্তি দেন বাঙালি জাতিকে। পাকিস্তান নামের সমর রাষ্ট্রের দ্বার ভেঙে জন্ম দেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের।

স্বাধীনতা এনে দিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির তাগিদে যখন অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিলেন অবিসংবাদিত এ নেতা, ঠিক তখনই বাঙালির আকাশ ঢেকে যায় ঘোর অমাবস্যায়। যিনি জীবনের প্রতিটি ক্ষণ ব্যয় করেছেন মানবকুলে আলো ফোটাতে, সেই তার-ই জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দেয় বাঙালি ঘাতকরা।

১৫ আগস্ট ১৯৭৫। রক্তগঙ্গায় মানবতা ভেসে যাওয়ার এক কলঙ্কময় অধ্যায়। এদিন মধ্যরাতে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করে জাতির জনককে। এ সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

আজ বঙ্গবন্ধু নেই। আছে তার স্বপ্ন, আছে চেতনা। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই লাল-সবুজের পতাকা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষ’। এদিন রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যদিও করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মসূচিতে কৃচ্ছ্রতা আনা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর