এবার রাস্তার পাশে শপিং ব্যাগে কেঁদে উঠলো নবজাতক
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় রাস্তার পাশে গাছের নিচে শপিং ব্যাগে ফেলে রাখা এক জীবন্ত নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। রাস্তা থেকে নবজাতককে তুলে নিয়ে লালন পালন শুরু করেছে স্থানীয় জনৈক সোহরাব গাজী ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম।
এর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন মঙ্গলবার (০৪ জুন) ভোরে সোহরাব গাজী ও নুরজান দম্পতি ক্ষেতের কাজে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কান্নার শব্দ শুনে নবজাতককে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাদশাবাড়ী এলাকায়। এ নিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে নবজাতককে উদ্ধারের ঘটনার গত চার দিনেও তার বাবা-মায়ের সন্ধান পায়নি পুলিশ সহ স্থানীয় গ্রামবাসি।
কৃষক সোহরাব গাজী জানান, নিত্যদিনের মতো ভোরবেলা ক্ষেতের কাজের উদ্দেশ্যে পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় নবজাতক শিশুর কান্না শুনে তিনি থমকে দাঁড়ান। আশপাশে কোনো লোকজন দেখতে না পেয়ে কান্নার শব্দ খুঁজতে খুঁজতে রাস্তার পাশে গাছের নীচে একটি শপিং ব্যাগের কাছে যান।
এসময় শপিং ব্যাগে নড়াচড়া ও কান্নার শব্দ আঁচ করতে পেরে ব্যাগটি তুলতেই নবজাতক শিশুটিকে দেখতে পান। জীবন্ত নবজাতককে পিঁপড়ায় ধরেছিল। পরে সেখান থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে লালন-পালন শুরু করেন।
দুমকি থানার অফিসার ইন-চার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, উদ্ধারকৃত নবজাতকটিকে ওই দম্পতির জিম্মায় রাখা হয়েছে। তারা ওকে সন্তানের মত করেই জত্ন ও লালন পালন করছেন। তবে এখন পর্যন্ত তার প্রকৃত মা-বাবা কে তা সনাক্ত করা যায়নি। তাদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।