শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

বইয়ের প্রচারণায় মেলায় মোশাররফ করিম

রিপোর্টারের নাম / ৪০৩ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

অমর একুশে বইমেলার ষষ্ঠ দিন আজ। প্রতিদিনই নতুন নতুন বই আসছে, সেসব বইয়ের মোড়ক উম্মোচন হচ্ছে। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের চেয়ে বইপ্রেমীদের ভিড় বেড়েছে। ফলে বই বিক্রিও হয়েছে বেশ। আজ মেলায় দেখা গেল ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমকে। তার কাব্য প্রেমের কথা সবার জানা।

 

প্রতিবারই মেলায় অনেক তারকাদের লেখা বইও প্রকাশ হয়। এবার কী তাহলে মোশাররফ করিমের বই প্রকাশ পেয়েছে। না, নিজের বইয়ের জন্য নয়। প্রতি বছরই বইমেলাতে ঘুরতে আসেন মোশাররফ করিম। তবে আজ তার মেলায় আসার উদ্দেশ আলাদা।

জানা গেল, একটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করতে এসেছেন তিনি। মেলায় এসেছে ছোট পর্দার এই সময়ের আলোচিত নির্মাতা সাজিন আহমেদ বাবুর প্রথম উপন্যাসের বই ‘যে মনে কারফিউ’। বইটি প্রকাশ করেছে তাম্রলিপি প্রকাশনী। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন মোশাররফ করিম। তার স‌ঙ্গে উপ‌স্থিত ছি‌লেন স্ত্রী জুঁই ক‌রিমও।

 

মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে মোশাররফ করিম বলেন, ‘বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। অনেক ভালো লাগছে মেলায় এসে। আজ সাজিনের প্রথম উপন্যাস প্রকাশ হলো। সে দারুণভাবে নাটকের গল্প বলতে পারে। আমার বিশ্বাস উপন্যাসটিও দারুণ লিখেছে।’

বই‌য়ের মোড়ক উ‌ম্মোচ‌নের সময় নি‌জের জন্য এক ক‌পি বইও কেনেন মোশাররফ ক‌রিম। ম‌ঞ্চেই বইটি‌র মূল্য তু‌লে দেন লেখ‌কের হা‌তে।

 

‌ লেখ‌কের প্রথম বই‌টির জন্য শুভকামনা জানান জ‌ুঁইও।

 

বইটি নিয়ে সাজিন আহমেদ বাবু বলেন, ‘জীবনে কখনো কখনো মনে জরুরি অবস্থা জারি হয়। একটা পুরোনো জমিদার বাড়িতে তিনটি পরিবারের বসবাস। তারা রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ সবাই। ‘জন্মিলে মরিতে হয়’ তার কোনো বিকল্প নাই। তবুও আর কয়টা দিন বেঁচে থাকা, আরেকটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার সাধ কখনো কখনো মানুষকে ভয়ংকর স্বার্থপর ও লোভী করে তুলে। তাতে যদিও জীবনের আয়ু এক মুহূর্ত বাড়ে না, বাড়ানো যায় না। নিজের রক্তকেই তখন ভীষণ অচেনা মনে হয়। মনে হয় না এ আমার রক্ত। একই রক্তের এত রূপও হয়! অবাক হতে হয়, বেঁচে থেকেও মৃত্যুর যন্ত্রণা নিয়ে জীবনযাপন করতে হয় এই সমাজেই। তখন প্রতিটি মনে কেবল কারফিউ’ই জারি হয়।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু অনুভূতির ভাষা হয় না। আমি অনুভূতির প্রপার ভাষা খুঁজে পায়নি। আমি আমার লেখালেখির জীবনে খুব কম সময়েই সৃষ্টি সুখের উল্লাস অনুভব করতে পেরেছি। কিন্তু এই উপন্যাসটা লিখতে গিয়েই প্রতি ধাপে ধাপেই আমি সৃষ্টির এক দারুণ অনুভুতি অনুভব করেছি। মেলা শুরু হওয়ার প্রতিটা দিন অপেক্ষায় কাটিয়েছি বইটা কখন আসবে। কখন নতুন বইয়ের গন্ধটা আমি নেব। এই অনুভূতি আমার কাছে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অনুভূতি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর