বরিশাল মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে দাফন সম্পন্ন।
জাতির সূর্যসন্তান মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান গতকাল ৩১ জানুয়ারি রাতে ইন্তেকাল করেন, “ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”। তার মৃত্যুতে বরিশালের সর্বস্তরের মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন। তার মৃত্যুতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক বরিশাল এর পক্ষ থেকে, তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করার পাশাপাশি তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে দুপুর ১২ টার দিকে তার নিজ বাড়ি চরবাড়িয়া থেকে তার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স আনা হয়। সেখানে জেলা প্রশাসন বরিশাল এর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান পুস্পমাল্য দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বরিশাল মোঃ শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরিশাল শহিদুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বৃন্দ, সহসভাপতি জেলা আওয়ামীলীগ বরিশাল মোঃ হোসেন চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ কুতুব উদ্দিন আহমেদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এদিকে জোহরের নামাজের শেষে প্রথম জানাজার জন্য তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে।
সেখানে প্রথম জানাজায় অংশগ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান, বীর প্রতীক কে এস এম মহিউদ্দিন মানিক, মুক্তিযোদ্ধারা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ তার প্রথম জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক সহ সেখানে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। সেখান থেকে তার মরদেহ দ্বিতীয় জানাজা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করার জন্য তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে আসরের নামাজ শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার শেষে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান। জানাজা শেষে তার নিজ বাড়ির কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। গতকাল রাতে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্যক্তি জীবনে তার একমাত্র পুত্র সন্তান, দুজন কন্যা সন্তান ও স্ত্রী রয়েছেন।