পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষন, লজ্জায় আত্মহত্যা
পটুয়াখালী জেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের আব্দুল হাই দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী তানিয়াকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের ফলে লজ্জা ও ঘৃণা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তানিয়া আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী।
ঘটনার বিবরন পূর্বক জানা যায়, তানিয়া আক্তার এর সাথে মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে উক্ত এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে শাওন সরদার ও হোসেন মাতুব্বর এর পরিচয় হয়।
১২ জানুয়ারি তানিয়া আক্তারের আত্মিয় জামালের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে আটটার দিকে শাওন সরদার ও হোসেন মাতুব্বর এবং অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় শংকরপুর গ্রামে তানিয়াকে একা পেয়ে একটি বাড়ির মধ্যে নিয়ে যায়।
বাড়িতে কেউ না থাকায় রাতভর তাকে ধর্ষণ করে। সকাল সাড়ে ছয়টার সময় তানিয়াকে ছেড়ে দিলে নিজ বাড়িতে এসে তানিয়া হাঁউমাঁউ করে কেঁদে ফেলে।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এবং আসামিদের হত্যার হুমকিতে তানিয়া বিষ খান।
রাতেই তানিয়া মারা যান। পরবর্তীতে তানিয়ার নানা সাত্তার ফকির পটুয়াখালী সদর থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানায় উক্ত ঘটনায় পটুয়াখালী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে যাহার নাম্বর ১৯৮(৩-১) তারিখ-১৭.০১.২০২০ইং এবং ঐ দিনই মূল আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধর্ষক শাওন সরদার ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবীতে মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউনিয়নের শত শত জনতা, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা সুপার মোঃ খলিলুর রহমান, সহ সুপার ইতিশা হাসান, শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোঃ মিলন মিয়া, হারুন-অর-রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, সুলতান খান, আফরোজা আক্তার ও তাসলিমা আক্তারসহ বিদ্যালয়ের ছাত্রীবৃন্দ।