রাতে তাপমাত্রা কমবে, দিনে বাড়বে
সামনের কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। আর দিনের ঝকঝকে আকাশে ছড়াবে রোদ্র ও সেই সাথে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আগামী এক সপ্তাহে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
তবে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। কোনো কোনো সময় দিনের তাপমাত্রা বেশ বৃদ্ধি পেতে পারে। শনিবার আবহাওয়া দফতর এমনই পুর্বাভাস দিয়েছে।
পুর্বাভাসে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রবিবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, শনিবার সকালে ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ সময়ে ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। ফলে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সামনের পথচারী ও বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এমতাবস্থায়, মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালকদের কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তায় ফগলাইট ব্যবহার ও গতিসীমা সীমিত রেখে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, চলতি মাস ধরে শীত অনুভূত হবে। মাঝে মাঝে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। যেহেতু শনিবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সামান্য উপরে। এই কারণে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা যাবে না। ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। ৬ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমে আসলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ।
শীতের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয় বেশ কিছুদিন ভারতের বিহারের বাইরে অবস্থান করার পর শনিবার থেকে তা আবারো পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি খুবই ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে নিয়ে আসে। এ কারণে সকালের দিকে বেশ ঠাণ্ডা পড়তে পারে। দিনের বেলা তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে পারে।