বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে হবে: সিইসি কেএম নূরুল হুদা

রিপোর্টারের নাম / ১০৬ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে ত্রুটিযুক্ত কোনো সুযোগ রাখতে চায় না কমিশন। ইভিএম এর মাধ্যমেই ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন সম্ভব এবং এ কারণেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে হবে।

 

 

কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। ইভিএম পদ্ধতি স্বচ্ছ। এ পদ্ধতিতে একের অধিক ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। একের ভোট অন্য কেউও দিতে পারে না। শুধু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নয়, পরবর্তীতে দেশের সকল পর্যায়ের নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি প্রচলনের চিন্তাভাবনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

 

 

শনিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা । এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

সাংবাদিকরা ইভিএম নিয়ে সুজন এর সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের মন্তব্য তুলে ধরেন। ড. বদিউল আলম মজুমদারের মন্তব্য ছিল, ইভিএম ত্রুটিযুক্ত পদ্ধতি এবং এ পদ্ধতি বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ বাতিল করে দিয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন কেন এ পদ্ধতিতে ঝুঁকছে তা বোধগম্য নয়।

 

 

ড. বদিউল আলম মজুমদারের মন্তব্যের বিষয় সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, ড. বদিউল আলম মজুমদারের ইভিএম প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা নেই। বদিউল আলম মজুমদার ইভিএম প্রযুক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করার মতো উপযুক্ত ব্যক্তিও নন। যদি নির্বাচন কর্মকর্তারা এ ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ করেন তাহলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

 

 

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা আছে কীনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী দরকার নেই। এ নির্বাচন পরিচালনায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিই যথেষ্ট। তাদের সেই সামর্থ্য এবং যোগত্যা আছে। তাই সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনের নেই।

 

বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার প্রসঙ্গে সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি বা কার্যক্রমে কোন ত্রুটি নেই। কমিশন জনগণকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান করে। ভোট কেন্দ্র ও তার বাইরের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ কি-না তাও নিশ্চিত করে। তবে বড় বড় রাজনৈতিক দল বা বিরোধীদলগুলো নির্বাচনে যায় না। তখন ভোটারদের মাঝে অনীহার সৃষ্টি হয়। ওই দলগলোর সমর্থক ভোটাররা কেন্দ্রে যায় না।

 

 

সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন, আমরা সেই পরিবেশ সৃষ্টি করি। ভোট পদ্ধতিতে ত্রুটি কখনও ছিল না এবং এখনও নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

 

এর আগে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

 

 

গত ২৬ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত সফরে পটুয়াখালী জেলার বাউফলে যান সিইসি। ২ দিনের ব্যক্তিগত সফর শেষে শনিবার বিকেলে ঢাকায় ফেরার পথে বরিশালে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর