নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন : ববি উপাচার্য
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেছেন, সমাজে বিরাজমান নারী ও শিশুদের প্রতি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন দরকার। নারী ও পুরুষের সমতা অর্জনে ক্ষমতায়নও খুব জরুরি।
মঙ্গলবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতীকি যুব সংসদ প্রবর্তিত জেন্ডার জাস্টিস বিষয়ক এক ফেলোশিপের চেক বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ও এনগেজ মেন অ্যান্ড বয়েজ নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় এই ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
জেন্ডার জাস্টিস ফেলোশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমীক্ষা পরিচালনা করে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষ ও বালকদের ভূমিকা নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় কর্মসূচির সুপারিশ রেখে প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন।
যাচাই বাছাই কমিটির নির্বাচনে ফেলোশিপপ্রাপ্তরা হলেন- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আরিফুল ইসলাম এবং মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী লিজা আক্তার পাপিয়া। প্রত্যেক ফেলো ৬ মাস মেয়াদী তাদের মাঠকর্ম ও সমীক্ষার জন্য এককালীন ৪১ হাজার ৩শ’ ৩৩ টাকা করে বৃত্তি পাবেন।
ফেলোশিপ প্রোগ্রামের জুরি বোর্ডে ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যন ও সহকারী অধ্যাপক ড. তারেক মাহমুদ আবীর ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সহকারী পরিচালক এস. এম. আরাফাত শাহরিয়ার। প্রাপ্ত আবেদন অনেক যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের মধ্য দিয়ে ফেলোশিপের জন্য তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়।
ফেলোশিপের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যন ও সহকারী অধ্যাপক ড. তারেক মাহমুদ আবীর, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সহকারী পরিচালক এস. এম. আরাফাত শাহরিয়ার এবং সহকারী রেজিস্টার বাহাউদ্দিন গোলাপসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ফেলোশিপ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গবেষণাকর্মে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। গবেষণা ও সমীক্ষা কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি সম্পৃক্ত করা গেলে একদিকে শিক্ষার্থীদের বাস্তবিক জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের গবেষণালব্ধ তথ্য দেশের নীতি সংস্কার ও জনসচেতনতা তৈরিতে ব্যাপক অবদান রাখবে বলে তিনি মনে করেন।