বরগুনার আমতলীতে জাল তালাকনামা তৈরীর অভিযোগে কাজীর সহকারী জেল হাজতে
জাল তালাকনামা তৈরীর অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) সহকারী মোঃ রেজাউল করিম ওরফে মজিবর রহমান শরীফকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, গত ৭ মার্চ ২০১৯ তারিখে উপজেলার সোনাউঠা গ্রামের গৃহবধূ মোসাঃ নাছিমা আক্তার তার স্বামী খোকন হাওলাদারের বিরুদ্ধে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি আর- ২০১/১৯। এ মামালায় আসামীপক্ষ আপোষ মিমাংসার কথা বলে আদালত থেকে সময় নেয়। গত ১৪ মে তারিখে আসামী স্বামী খোকন হাওলাদার আদালতে একটি জাল তালাকনামা দাখিল করেন। তালাকনামায় স্ত্রী নাছিমা আক্তার স্বামী খোকনকে তালাক দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। দাখিল করা এ তালাকনামা জাল বলে বাদী আদালতে জানান।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তালাকনামা যাচাই-বাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিষ্টারকে ২৪ নভেম্বর বালাম বই নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেন। তিনি ধার্য তারিখে আদালতে হাজির না হলে ২৭ নভেম্বর পুনঃরায় তাকে হাজির হতে তলব করেন। এ তারিখেও তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
আজ (বুধবার) ১৮ ডিসেম্বর নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) সহকারী মোঃ রেজাউল করিম ওরফে মজিবর রহমান শরীফ আদালতে হাজির হয়। এ তালাকনামা তার হাতে লেখা বলে তিনি আদালতে জানালেও তিনি বালাম বই দেখাতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে যাচাই- বাচাই করে আদালতে দাখিল করা তালাকনামা জাল প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) সহকারী মোঃ রেজাউল করিম ওরফে মজিবর রহমান শরীফ পার্শ্ববর্তী কলাপাড়া উপজেলার উত্তর মাছুয়াখালী গ্রামের হাজী রত্তন শরীফের পুত্র। তিনি ওই এলাকার নিকাহ রেজিষ্টারের সহকারী। তার বিরুদ্ধে জাল বিবাহ ও তালাকনামা তৈরী করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।