কুয়েটের ২৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৮ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার, ৬ ছাত্রকে জরিমানা ও ১৩ ছাত্রকে সতর্কীকরণ নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি।
গত ১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মাঠে এবং পরবর্তীতে অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের ছাত্র আল আরাফাত আবির (রোল নম্বর- ১৬০৩০৪৩), রাহাত আহম্মেদ ইমন (রোল নম্বর- ১৬২১০২২) ও শাহীন আলমকে (নম্বর- ১৬০৫১০০) ৬ টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একই হলের কাজী আকিব জাভেদ (নম্বর- ১৫০৭০৬০) ও তরিকুল ইসলামকে (রোল নম্বর- ১৭০৯০২১) ৪ টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। রাশাদ রাফিদ অর্ণব (রোল নম্বর- ১৫১১০৪৮) ও সুদীপ বিশ্বাসকে (রোল নম্বর- ১৫১১০৫৭) দুই টার্মের জন্য বহিষ্কার এবং নাসির উদ্দিনকে (রোল নম্বর- ১৬২১০৩২) এক টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের সবাইকে ছাত্র প্রতিনিধিত্বমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না হওয়া, পরবর্তীতে অপরাধের প্রমাণ পেলে কঠোর শাস্তি, হলের ছিট বাতিল ও অভিভাবকের মুচলেকা প্রদানের শাস্তি প্রদান করা হয়। এদের বহিষ্কারের শাস্তি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জোড় টার্ম থেকে শুরু হবে।
এছাড়া অমর একুশে হলের শোয়েব ইসলাম (রোল নম্বর- ১৫২৩০০১) ও মো. ফয়সালকে (রোল নম্বর- ১৫১১০৩৬) ৩০ হাজার টাকা জরিমানা; ফজলুল হক হলের রাছিন জামান (রোল নম্বর- ১৫১৯০১২), আহসানুল আবেদিন (রোল নম্বর- ১৭১১০৪২), সৈকত দে’কে (রোল নম্বর- ১৫১৯০২০) ১০ হাজার টাকা জরিমানা; অমর একুশে হলের রেদওয়ানুল আমিনকে (রোল নম্বর- ১৭১৯০১৯) ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সকলকে ছাত্র প্রতিনিধিত্বমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না হওয়া, পরবর্তীতে অপরাধের প্রমাণ পেলে কঠোর শাস্তি, অভিভাবকের মুচলেকা প্রদানের শাস্তি প্রদান করা হয়।
অপরদিকে, অমর একুশে হলের তিলক বড়ুয়া (রোল নম্বর-১৬২৩০০২), তানভীর আহম্মেদ (তনয়) (রোল নম্বর- ১৭০৫০১৫), ফজলুল হক হলের নুর মোহাম্মাদ (নাহিদ) (রোল নম্বর- ১৬০৫০৮৮), গোলাম রাব্বি সিয়াম (রোল নম্বর- ১৭২৩০০৮), আমিনুল ইসলাম শিহাব (রোল নম্বর- ১৬০৫০৭৪), অনিকুর রহমান (রোল নম্বর- ১৭০৩১১৭), মুহিব্বিন হোসেন সরদার (মুন্না) (রোল নম্বর- ১৭০৭০৮১), মো. কাউসার (রোল নম্বর- ১৮১৯০০৩), শরিফুল ইসলাম (রোল নম্বর- ১৮১৯০০৯), সলিম আবেদিন ফাহিম (রোল নম্বর- ১৮০৯০৫৮), তানভীর রহমান (রোল নম্বর- ১৬০৩০৭৮), ফাহিম ফয়সার অর্ণব (রোল নম্বর- ১৬০৫০৯০) ও অমর একুশে হলের নাফসি আহমেদকে (রোল নম্বর- ১৭১৯০৩১) পরবর্তীতে অপরাধের প্রমাণ পেলে কঠোর শাস্তি ও অভিভাবকের মুচলেকা প্রদানের শাস্তি প্রদান করা হয়।