বরিশালে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রবিউল বাচতে চায়
১৩ বছরের হৈ হুল্লো করে ঘূরে বেড়ানো ছোট্ট ছেলেটা হলো রবিউল। যার এই বয়সে স্কুলে যাওয়া বা খেলাধুলা করার কথা। কিন্তু তার বদলে রবিউলের বেশিরভাগ সময়ই কাটছে এখন হাসপাতালের বিছানায়। কারণ, এই শিশুটি বর্তমানে দুরারোগ্য মরন ব্যাধী ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রতি ১৫ দিনে রবিউলকে দুই ব্যাগ করে রক্ত দিতে হয়।
প্রায় ১ মাস ধরে তার চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে দরিদ্র বাবা আব্দুল ফকরুল মুন্সি ও তার পরিবার। রবিউলের এক আত্মীয় প্রতিবেদককে জানান, বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামের খেটে খাওয়া দিনমজুর আব্দুল ফকরুল মুন্সির ছোট ছেলে ৮ম শ্রেনীতে পড়ুয়া রবিউল (১৩) ইসলাম। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা’র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খেটে খাওয়া দিনমজুর আব্দুল ফকরুল মুন্সির অভাবের সংসারে খরচ চালাতেই হিমশিম খাচ্ছে। তারপড়েও ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র রবিউলকে মরন ব্যাধী ক্যান্সারের হাত থেকে বাচাতে চিকিৎসার জন্য নিজের সহায় সম্পদ বিক্রি করে এখন দেউলিয়া হয়ে সমাজের/সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘূরে বেরাচ্ছেন ওর হতদরিদ্র বাবা।
একমাত্র থাকার ভিটে-টা বাদে সব সম্পত্তি বিক্রি করে এখন শেষ পর্যায়ে দুুর্ভোগে জীবন কাটাচ্ছে ওর গোটা পরিবার। অসুস্থ ছেলে রবিউলকে বাচাতে চিকিৎসার জন্য ৮-১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ফকরুল মুন্সি তার যে সম্পত্তি বিক্রি করেছেন, সেই বিক্রির টাকা দিয়ে এতোদিন চিকিৎসা চালিয়েছেন। এখন চিকিৎসার খরচ জোগাতে তিনি অসহায় হয়ে মানুষের দ্বারস্ত হয়েছেন।
ছেলেকে বাচাতে হয়তো থাকার ভিটা মাটিও বিক্রি করতে হতে পারে তার। রবিউলের পরিবার সুত্রে আরও জানাগেছে প্রায় ১ মাস পূর্বে ধরা পড়েছে বরিউলের মরন ব্যাধী ব্লাড ক্যান্সার। ওর বাবা প্রতিবেদককে বলেন, কয়েক মাস আগে থেকেই মাঝে মাঝে বরিউলের জ্বর হইতো। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও জ্বর ভালো হয়নী। একপর্যায় রবিউলকে বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসক ওর মরন ব্যাধী ক্যান্সার হয়েছে বলে জানান।
এমতাবস্তায় রবিউলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার ছেলেটা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লরতেছে। আমি আমার ছেলেকে বাচাতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করছি। তিনি যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে আবার হয়তো স্কুল জীবনে ফিরতে পারবে রবিউল।
সাহায্য করতে চাইলে ০১৭১১-৪৬২৪১৮/০১৭১৪-৯০১৭১১ যোগাযোগ করুন।