শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

মেয়র সাদিকের কর্ম তৎপরতায় দূর্দশাগ্রস্ত মানুষের স্বস্তি

রিপোর্টারের নাম / ২৪১ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৯

দায়িত্ব গ্রহনের এক বছরের মধ্যে দুটি বড় ধরনের ঘূর্নিঝড় মোকাবেলা করতে হলো বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে। ফনি নামক ঘূর্নিঝড় দক্ষতার সাথে মোকাবেলার পর এবার ঘূর্নিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় বেশ সফলতা দেখালেন তিনি। তার দৃঢ় চিত্ত কর্ম তৎপরতায় দূর্দশাগ্রস্ত মানুষগুলো যেমন স্বস্তি পেয়েছে তেমনি রক্ষা পেয়েছে।

নিজের ঘুম, খাবারসহ সব কিছু পরিহার করে মেয়র ছুটে বেড়িয়েছেন নগরীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। শনিবার সকালের পর থেকেই তার প্রিয় নগরবাসীর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। জরুরী সভার মাধ্যমে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করে তিনি নেমে পড়েন। স্প্রীডবোর্ড যোগে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে নদী তীরবর্তি এলাকায় গিয়ে হ্যান্ড মাইকযোগে একদিকে যেমন মানুষদের সচেতন করেছেন তেমনি বারংবার তাদের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার আহবান জানিয়েছেন।

রাত অবধি ঘরের বাইরে থেকে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নেয়াদের খোঁজ খবর নেয়াসহ খাবারের ব্যবস্থা করেন। এরই ফাঁকে ছুটে গেছেন নগর ভবনেও।

মেয়রের নির্দেশে যারা জরুরী সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত ছিলেন তাদের কথা ভুলে যাননি তিনি। নগর ভবনে গিয়ে সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন। সকলের খাবারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মেয়র আবার বাইরে বেরিয়ে পড়েন। ঘুড়ে বেড়ান বিভিন্ন প্রান্তে। নির্ঘুম রাত কাটিয়ে কিছু সময়ের জন্য বাসায় গেলেও সেখানে গিয়ে সামান্য সময়ের জন্য বিশ্রামে যাননি তিনি।

প্রতি মূহূর্তে খোঁজ রেখেছেন সার্বিক পরিস্থিতির। একসময় যখন জানতে পারলেন নগরবাসী পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন তখন আবার বেরিয়ে পড়েছেন। ছুটে গেছেন পানি বন্দি মানুষের দূর্দশা দেখতে। যাতে করে পানি দ্রুত সরে যেতে পারে সেজন্য বিসিসির সংশ্লিষ্টদের কাজ করার নির্দেশ দেন মেয়র। আবার ঝড়ে গাছ পড়ার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়ে গাছ অপসারনের ব্যবস্থা করেন তিনি। এরমধ্যে দুপুরের সময় হলে নগরীর বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রসহ পানি বন্দি অনেক মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন।

পানি সংকটের কথা শুনে মেয়র গাড়ী যোগে মহল্লায় মহল্লায় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। মেয়র মনে করেন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় বুলবুল মোকাবেলা করা গেছে।

এজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচা গেছে। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করে মেয়র বলেন, এখন কাজ হবে বুলবুলের ফলে নগরীর সড়কসহ যতোটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার একটি পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরী করে তার ব্যাপারে করনীয় বিষয়ে মনোনিবেশ করা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর