শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

ভারতের স্বস্তি বাংলাদেশের আফসোস

রিপোর্টারের নাম / ৩০৪ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

ফার্নান্দেজের কর্নার থেকে আদিল খানের হেডে বাংলাদেশের জাল যখন কাঁপলো তখন ম্যাচের বয়স ৮৮ মিনিট। জাল থেকে বল হাতে নিয়ে ভারতের অধিনায়ক এমন গতিতে মাঝমাঠে খেলেন পুনরায় খেলা শুরু করতে তেমন গতির দৌড় দিতে গোলের আগে দেখা যায়নি তাকে। মাঠের কোনায় উল্লাসরত সতীর্থদের তখন দ্রুত খেলায় ফিরতে আহ্বান ভারতীয় অধিনায়কের। বাকি দুই মিনিটে আরেক গোল দিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট রেখে দেয়ার নেশা তখন সুনীল ছেত্রির।

পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের চেয়ে কম সুযোগ পাওয়া ভারত দুই মিনিটে গোল দেবে কি করে? বাংলাদেশও তখন নিয়েছে জয়ের নেশা ছেড়ে এক পয়েন্ট নিশ্চিতের কৌশল। পাঁচ মিনিট ইনজুরি সময়-গ্যালারির মনমরা ভারতীয় দর্শকরা নড়েচড়ে বসে সমর্থন দিলো নিজেদের দলকে। কিন্তু গোল আর হলো না।

প্রায় ৮০ হাজার দর্শকের সেই ভয়ংকর চিৎকারে বিন্দুমাত্রও টলেননি জামাল ভূইয়ারা। বরং যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বুক চিতিয়ে খেলে লাল-সবুজের প্রদর্শনই করেছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। শেষ বাঁশি বাজতে ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে স্বস্তি। বাংলাদেশের ভুলে অন্তত হার এড়াতে পেরে বেশ খুশি দর্শকরাও। গ্যলারি থেকে হাত নাড়িয়ে দর্শকরা সুনীলদের বাহবা দিয়েছেন। হারতে যাওয়া ম্যাচ থেকে এক পয়েন্টতো কম নয়। ম্যাচটি যখন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের।

তৃতীয় ম্যাচে এসে বাংলাদেশ পেলো প্রথম পয়েন্ট, ভারতের দুই। ভারত এর আগে কাতারকে রুখে দিয়ে এসেছে দোহা থেকে। আর পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ড্র করে ঝুলিতে দ্বিতীয় পয়েন্ট ভারতের। এই ম্যাচের আগে ঢাকায় দুর্দান্ত খেলে কাতারের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

ফুটবলে গোলই শেষ কথা। গোল করতে না পারলে ভালো খেলা মূল্যহীন। তাতে দর্শকদের প্রশংসা পাওয়া গেলেও লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। ঘরের মাঠে গ্যালারি ভর্তি সমর্থকদের সামনে খেলে ভারত যে কয়টি সুযোগ তৈরি করেছিল তার চেয়ে বেশি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওই যে গোল মিসের খেসারত। এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান ২-০ করার সুযোগও পেয়েছিল কয়েকবার। কিন্তু কখনো ভারতীয় ডিফেন্ডাররা, কখনো গোলরক্ষক আক্রমণগুলো ঠেকিয়েছেন। এমন কি ক্রসবারও হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ।

ভারতের হারতে হারতে ড্র, বাংলাদেশ জয়বঞ্চিত শেষ মুহূর্তে। তাইতো ম্যাচের পর দুই শিবিরে দুই রকম চিত্র। সুনীলদের মুখে চওড়া হাসি, বাংলাদেশের আফসোস। জিতলে ভারতের বিরুদ্ধে ১৬ বছর পর আনন্দ করা যেত। ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালের পর আর ভারতের বিপক্ষে জয় নেই বাংলাদেশের। তার চেয়েও বড় কথা ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানোর ইতিহাস গড়াটা হতে হতেও হলো না। বাংলাদেশের আফসোসটাতো ওখানেই।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর