রাঙ্গাবালীতে ডাকাতি : গ্রেফতার ২
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনার চরের পূর্ব পাশে গভীর বঙ্গোপসাগরের মাছের ট্রলারে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ। তাদের নাম মো: আলিম নুর ওরফে আলমগীর (৩৮) ও মো: তারেক (২১)।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সদর থানা ও মহেশখালী এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। তাদের সাথে দুটি মোবাইলফোন ও নগদ টাকা পাওয়া গেছে।
আলিম নুর মনুপাড়া গ্রামের খুরুশকুল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মো: হাসেমের ছেলে, তারেক মোহম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মো: বাদশা মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনার চরের পূর্ব পাশে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারে ২০ থেকে ২৫ জনের সশস্ত্র ডাকাতের একটি দল এমভি ভাই ভাই নামক ট্রলারের পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে গতিরোধ করে জেলেদের গুলি করতে থাকে। এতে জেলে খোকন গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পড়ে যান।
ডাকাতরা ট্রলারে উঠে দা, কিরিচ, চাপাতি ও অস্ত্র দিয়ে জেলেদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে ডাকাতরা ট্রলারের জেলেদের জিম্মি করে টাকা, কাপড়, মোবাইল, মাছ ধরার জাল, মাছসহ বিশ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করে।
ডাকাত দলের হাত থেকে রক্ষা পেতে ১৮ জন জেলের মধ্যে নয়জন জেলে সাগরে লাফিয়ে পড়ে নিখোঁজ হয়। এতে চারজন জেলে উদ্ধার হলেও একজন মারা যায়। এ ঘটনায় ট্রলারমালিক মো: মিরাজের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা করা হয়।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, মাছের ট্রলারে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো: আক্তারুজ্জামানের নির্দেশনায় পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো: সাইদুল ইসলাম ও বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শাহেদ আহম্মেদ চৌধুরীর তদারকিতে গঠিত তদন্ত টিম মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটনসহ আসামিদের গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তসহ পলাতক আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, আসামি তারেক ডাকাতির ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।







