নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া
নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন এবং নতুন পারমাণবিক সাবমেরিন যুক্ত করে নিজেদের পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধিতে আরও মনোযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন হামলার এক বছর পূর্ণ হওয়ার এক দিন আগে বৃহস্পতিবার তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিধিনিষেধ ভেঙে ফেলতে প্রস্তুত, যার মধ্যে পারমাণবিক পরীক্ষার উপর বৃহৎ শক্তির স্থগিতাদেশের বিষয়টিও রয়েছে।
সোভিয়েত সময়ে রেড আর্মি ডে হিসাবে পরিচিত ‘পিতৃভূমির রক্ষক’ দিবসের ভাষণে পুতিন নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত বিজয়ের কথা স্মরণ করে রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের নিশ্চয়তা দিতে আধুনিক সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
স্থল, সমুদ্র এবং আকাশে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগের মতোই, আমরা তিনটি ক্ষেত্রেই পারমাণবিক অস্ত্র শক্তিশালী করার দিকে আরও মনোযোগ দেব।’ চলতি বছরই আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সারমাটকে মোতায়েনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
আরএস-২৮ নামের আন্তঃমহাদেশীয় সারমাট ক্ষেপণাস্ত্রটি তরল জ্বালানিতে পরিচালতি হয়। এর ডাকনাম ‘শয়তান-২’। ৩৫ মিটার আকারের ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৮ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এবং পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকা এই ক্ষেপণাস্ত্র পৃথক ১০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।
পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া বিমান থেকে ছোড়া হাইপারসনিক কিনজল ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক উৎপাদন চালিয়ে যাবে এবং সমুদ্রভিত্তিক জিরকন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক সরবরাহ শুরু করবে।