শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীতে শাশুড়িকে নিয়ে উধাও জামাই, শ্বশুরের মামলা

রিপোর্টারের নাম / ৭০ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়েছে জামাই সাইদুল ইসলাম (৩৫)। এ ঘটনায় স্ত্রী ও জামাইয়ের বিরূদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শ্বশুর হালিম সিকদার।

অভিযুক্ত জামাই ও ভুক্তভোগী শ্বশুরের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামে। অভিযুক্ত জামাই মো. সাইদুল ইসলাম একই গ্রামের মো. মুনসুর হাওলাদারের ছেলে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শ্বশুর হালিম সিকদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করলে বিষয়টি জনসম্মুখে আসে।

মামলাটি আমলে নিয়ে জামাই-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক স্বপন কুমার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মির্জাগঞ্জ গ্রামের হালিম সিকদারের বড় মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের বিয়ে হয় ৫ বছর আগে। বিয়ের পর জামাই সাইদুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করতেন।

শ্বশুর হালিম সিকদার কাজে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকার সুবাদে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন জামাই সাইদুল ইসলাম।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান সাইদুল। এ সময় শ্বশুর হালিম সিকদার তাঁর বাবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঢাকা থেকে এসে প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী (শাশুড়ি) জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।

ভুক্তভোগী হালিম সিকদার বলেন, বিয়ের পর জামাই সাইদুল আমাদের বাড়িতেই বসবাস করতেন। তাদের একটি আট মাসের শিশু কন্যা রয়েছে। আমি মাসে ২০-২৫ দিনের বেশি কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকতাম।

এ সময়ে পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জামাই সাইদুল। একপর্যায়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হোসেন বলেন, শ্বশুর হালিম সিকদারের দায়ের করা মামলায় জামাই এবং শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের বিরূদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনা ও মামলার বিষয়ে শুনেছি। আদালতে মামলার আদেশ আসতে সময় লাগবে, আদেশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর