বগুড়ার দুই আসনে নির্বাচন করবেন হিরো আলম
বগুড়ায় শূন্য হওয়া দুটি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন হিরো আলম। সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনের মনোনয়ন সংগ্রহ করেন তিনি।
বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাহমুদ হাসান বলেন, হিরো আলম আজ দুপুর ১২টার কিছু পর আমার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দুটি আসনের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি আসনে নির্বাচন করতে পারবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আমি মনোনয়ন সংগ্রহ করেছি। আমি এই মুহূর্তে আমার নির্বাচনী এলাকা বগুড়া-৪ আসনে আছি। আমি ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছি। কিছুক্ষণ পর ফেসবুকে মনোনয়ন সংগ্রহের ছবি পোস্ট করে দেবো।’
দুই আসনে একসঙ্গে ভোট করতে পারবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার একটু পরিশ্রম হবে। এরপরেও আমি দুই সংসদীয় আসনেই নির্বাচন করবো। যেহেতু এর আগেও আমি নির্বাচন করেছি সেহেতু একবার নির্বাচন করে তো আর থেমে যাওয়া যায় না। আমার বয়স তো আর এমন বেশি হয়নি যে আমি আর ভোট করতে পারবো না। কেবল তো বয়স শুরু। ছোটবেলায় বইয়ে পড়েছিলাম ‘একবার না পারিলে দেখো শতবার’ এই থিমটাকে আমি ধারণ করেছি। একবার না পারলে আরেকবার হবে।’
হিরো আলম বলেন, ‘আমি জনগণকে ভালোবাসি। সমাজসেবামূলক কাজগুলো ভালো লাগে। এছাড়া জনগণ আমাকে পছন্দ করে। তারা আমাকে চায়। ভোটাররা বলছে, এবার যেহেতু বিএনপি মাঠে নেই আমরা এবার হিরো আলমের জয় চাই।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেন। এর ফলে আসনগুলো শূন্য হয়। পরে নির্বাচন কমিশন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারন করেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৮ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ জানুয়ারি।
হিরো আলম, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছিলাম। যাচাই-বাছাইয়ের দুই দফায় আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থীতা ফিরে পাই। ব্যাপক আলোচনার মধ্যে সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করি। তবে নির্বাচনের দিন কারচুপি ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলাম।’