ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রীর ১০ নির্দেশনা
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট ক্যাম্পাসে রূপ দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক কর্মসূচি হাতে নেওয়াসহ ছাত্রলীগকে ১০ নির্দেশনা দিয়েছেন সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের প্রতি ১০ নির্দেশনা:
১. সংগঠনের ব্যানার, পোস্টার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কোনো ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
২. জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সম্মেলন ছাড়া তাদের অধীনে কোনো ইউনিটের কমিটি গঠন করবে না। যেসব ইউনিটের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি, দ্রুত তাদের কেন্দ্র বা সংশ্লিষ্ট ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সংখ্যার অধিক সদস্য নিয়ে কোনো ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে না।
৩. গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সময়ে প্রতিটি ইউনিটকে অবশ্যই নিয়মিত নির্বাহী সভা আয়োজন করতে হবে।
৪. সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নেতাদের অবশ্যই নিজ নিজ ইউনিটে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকতে হবে এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে উত্তরোত্তর গতিশীলতা বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৫. দেশের সব স্তরের নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড প্রচার করবে এবং দেশবিরোধী সব অপচেষ্টা ও গুজব-প্রোপাগান্ডার সমুচিত জবাব দেবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসাসহ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ বজায় রেখে সাংগঠনিক কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
৭. ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট ক্যাম্পাসে রূপদান করতে হবে, শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক কর্মসূচি হাতে নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
৮. স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, মৌলবাদ-জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টরা যেন নামে-বেনামে শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সেজন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও সাহিত্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।
৯. শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে নানামুখী উৎসব, প্রতিযোগিতা, সেমিনার, কর্মশালা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিতে হবে।
১০. জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ, বায়ু-পানি-মাটি-পরিবেশ-শব্দদূষণ রোধে ভূমিকা রাখা, অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ, জ্বালানি সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস-তেলের ব্যবহারে যত্নশীল হওয়া, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে মিতব্যয়ী হওয়াসহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিটি ইউনিট শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে।