রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন

সার্জেন্ট কিবরিয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত, দ্বিতীয় জানাজা ৮ টায়

রিপোর্টারের নাম / ১২৮ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯

যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বাদ আসর (বিকেল সাড়ে ৫টা) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ শিরু মিয়া মিলনায়তনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার সকাল ৮টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার জন্মভূমি পটুয়াখালীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন কিবরিয়া।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া।

উল্লেখ্য, সোমবার সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্নকাঠি জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পটুয়াখালীগামী যমুনা গ্রুপের বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ডভ্যানকে (ঢাকা-মেট্রো-উ-১২-২০৫৪) থামার সংকেত দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া।

 

কাভার্ডভ্যানটি সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সার্জেন্ট কিবরিয়া একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া করে কাভার্ডভ্যানটির সামনে গিয়ে ফের তাকে থামার সংকেত দেন। কাভার্ডভ্যানচালক জলিল মিয়া এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী সার্জেন্ট কিবরিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তার দুই পায়ের ৪টি স্থান ভেঙে যায় এবং মূত্রথলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ ধাওয়া করে চালক জলিল সিকদারসহ কাভার্ডভ্যানটি আটক করে।

কিবরিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিবরিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরপরই তাকে জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

 

দায়িত্বরত অবস্থায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে চাপা দেয়ার ঘটনায় আটক যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানচালক মো. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্দর থানায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় চালক মো. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৭টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বেপরোয়া গতিতে যান চালানো, সিগন্যাল অমান্য, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি সম্পত্তির (মোটরসাইকেল) ক্ষতিসাধন, হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণসহ ৭টি অভিযোগ মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। আটক যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানচালক মো. জলিল মিয়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মৃত জলিল সিকদারের ছেলে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর