পিরোজপুরের নাজিরপুরে চুরির অপবাদে এক যুবকের গোপনাঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী যুবকের বাবা উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের বাঘাজোড়া গ্রামের মো. বাবুল শেখ।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাবুল শেখ অভিযোগ করেন, তার জ্যেষ্ঠ ছেলে মো. হাফিজুর রহমানকে (২৪) গত ১৯ মার্চ সকালে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনয়িনের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন বুলুর নির্দেশে বাঘাজোড়া গ্রামের মো. রুবেল খান ও মো. শহিদুল ইসলাম শেখ (শহিদ) ধরে নিয়ে যান।

পরে স্থানীয় নেয়ামত সর্দারের বালুর গোলায় নিয়ে তাকে স্থানীয় জেহাদের মুদি দোকান চুরির অভিযোগে ৪-৫ জন মারধর করে। তার গোপনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন করা হয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে নির্যাতনকারীরা ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তার কাছে। টাকা না দেওয়ায় তাকে পুলিশে দেওয়া হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তিকে চুরি, মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে চাঁদা আদায় করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন বুলু ওই যুবকের বাবার কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, চুরির ঘটনার তথ্য প্রমাণিত হওয়ায় ওই যুবককে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

তবে সেখানে থাকা চেয়ারম্যানের সহযোগী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, চুরির স্বীকারোক্তির জন্য স্থানীয়রা ওই যুবককে দুই-একটি চড়-থাপ্পড় দিয়েছিল।

এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৮ মার্চ রাতে সংঘটিত একটি চুরির অভিযোগে স্থানীয়রা ওই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। মুদি দোকানি মো. জেহাদ হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here