বরগুনায় গোয়ালঘরে বাস করা সেই বৃদ্ধ পেলেন পাকা ঘর
বরগুনার বেতাগীতে অন্যের গোয়ালঘরে বাস করা ৭৫ বছরের বৃদ্ধ মকবুল হাওলাদার পাকা ঘর পেয়েছেন।
অবশেষে বৃদ্ধ মকবুল ও তার ১৪ বছরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে মিমের মাথা গোজার ঠাঁই হলো।
শুক্রবার বেলা ১১টায় বৃদ্ধ মকবুলের হাতে পাকা ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন বেতাগী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম গোলাম কবির।
চাবি হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন বেতাগী উপজেরা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম পিন্টু, বেতাগী থানার ওসি মো. শাহআলম, বেতাগী সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির খলিফা,হোসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান,বেতাগী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার ঢালী ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ইরান প্রমুখ।
এর আগে গত ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর ‘মেয়েসহ বৃদ্ধ মকবুলের ঠাঁই এখন গোয়াল ঘরে’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পরে এমন সংবাদ দেখে বেতাগী পৌরসভার মেয়র অসহায় বৃদ্ধ মকবুলের অসহায়ত্বের কথা ভেবে হাত বাড়িয়ে দেন এবং একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেবেন বলে ওই পরিবারকে আশ্বস্ত করেন।
সংবাদ প্রকাশের পর সেটি দেখে পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের সহধর্মিণী বাংলাদেশ নারী পুলিশ কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মির্জাও ঘর করে দেবেন বলে বেতাগী থানার ওসির মাধ্যমে প্রস্তাব দেন।
কিন্তু এরইমধ্যে মেয়র গোলাম কবির ওই বাড়িতে ঘর নির্মাণের জন্য নির্মাণসামগ্রী পাঠান।
গোয়ালঘরে বসবাস করা বৃদ্ধ মকবুল বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জিলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। কোনো ধরনের জমিজমা না থাকায় তিনি একমাত্র মেয়ে মিমকে নিয়ে অন্যের গোয়ালঘরে গবাদিপশুর বর্জ্যের মধ্যে বসবাস করতেন।
পাকা ঘর পেয়ে বৃদ্ধ মো.মকবুর হাওলাদার বলেন, ‘নতুন একটি ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি। কেঁদে কেঁদে বলেন কোনদিনও ভাবিনি পাক ঘরে থাকতে পারব। আমি যতদিন বেঁচে আছি মেয়রের জন্য দোয়া করব।’
এ ব্যাপারে বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষ ক্ষণে বৃদ্ধ মকবুল হাওলাদারকে একটি ঘর করে দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।সরকারের উচিত যার যার সামর্থ্যানুযায়ী অসহায়দের সহযোগিতা করা।