শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

ধুনটে গ্রাহকের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে উধাও ‘রুদ্র ফাউন্ডেশন’

রিপোর্টারের নাম / ১৯৬ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক হাজার গ্রাহকের আমানতের প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে রুদ্র ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) উধাও হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় রুদ্র ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রঞ্জু সরকারসহ পরিচালনা পর্ষদের ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক ১১টি মামলা করা হয়েছে।

প্রতারণার শিকার ৯ জন গ্রাহক এ বিষয়ে রোববার সকালে ধুনট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ধুনট উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া-বিলপথিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বকুল আমিন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের মোজাফফর সরকারের ছেলে রঞ্জু সরকার বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) একটা প্রজেক্টে চাকরি করতেন। সেখানকার প্রজেক্ট শেষ হওয়ায় তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। ২০১৮ সালে তিনি তার বাবা মোজাফফর সরকার, স্ত্রী দৃষ্টি আক্তার, ভাই রুহুল আমিনসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি মিলে একটি এনজিও গড়ে তোলেন।

তারা ওই এনজিও’র নাম দেন রুদ্র ফাউন্ডেশন। অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা এনজিওটির কার্যক্রম শুরু করে। শেরপুর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড শিরিন মহল নামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেটাকে এনজিওটির প্রধান কার্যালয় বানান। সেখান থেকে তারা শেরপুর ও ধুনট উপজেলায় গ্রাহক তৈরির কার্যক্রম চালাতে থাকেন।

এসময় তারা এলাকার মানুষদের অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে রুদ্র ফাউন্ডেশনে বিনিয়োগ করাতে থাকেন। তাদের প্রলোভনে প্রভাবিত হয়ে আমরা ৯ জন ব্যক্তি ওই এনজিও’র কয়েকটি পলিসি গ্রহণ করি। ২০১৮ সালে আমরা ওই প্রতিষ্ঠানে মোট ৭১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি।

এর মধ্যে আমার ১১ লাখ ৮৪ হাজার, বেসরকারি চাকরিজীবী জাফর ইকবাল ৫ লাখ, নূরনাহার বেগম ২ লাখ, মনির ইসলাম ১৫ লাখ ৭০ হাজার, রোজিনা খাতুন ১ লাখ, মুন ৫ লাখ, কৃষক রফিকুল ইসলাম ১৭ লাখ, আব্দুল হামিদ ১১ লাখ, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

সম্প্রতি আমরা রুদ্র ফাউন্ডেশনে গিয়ে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরৎ চেয়ে আবেদন করি। তারা ১০ নভেম্বর আমাদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নভেম্বর মাস আসার আগেই তারা অফিস বন্ধ করে দিয়ে আত্মগোপন করেছে। এতে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পরে জানতে পারি তারা আমাদের মতো আরও প্রায় এক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এ ঘটনায় আমরা জেলা বগুড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক ১১টি প্রতারণা মামলা করেছি। মামলাগুলো বর্তমানে বিচারাধীন। আমাদের বিনিয়োগ করা টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে রুদ্র ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রঞ্জু সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বগুড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্তকাজ চলমান রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর