শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

ক্যাবল কার-জিপলাইনে দেখা যাবে গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য

রিপোর্টারের নাম / ১৭৫ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শেরপুর সীমান্তের ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড়। এ গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে গজনী অবকাশ কেন্দ্র। জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নে ৯০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে এ কেন্দ্রটি। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলা অবকাশ কেন্দ্রটিতে ভ্রমণপিপাসু ও প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে সুপরিচিত। শীতে দেশ-বিদেশের লাখো পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয় পর্যটন কেন্দ্রটি।

স্থানীয়রা জানান, বছরজুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও পর্যটন সমৃদ্ধ শেরপুরে শীতে ভিড় বাড়ে দর্শনার্থীদের। সবুজের সমারোহ, জিপলাইন ও ক্যাবল কার কেন্দ্রটির আকর্ষণ বাড়িয়েছে। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে হেঁটে পার হবার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ। সম্প্রতি এ তিনটি রাইড যুক্ত হবার পর থেকে তরুণদের কাছে পছন্দের শীর্ষে এখন গজনী অবকাশ কেন্দ্র।

সারি সারি বাহারি গাছের পাহাড়ের মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা সড়ক, ছোট-বড় মাঝারি টিলা আর চোখ জুড়ানো সবুজের বিন্যাস প্রকৃতিপ্রেমীদের নিশ্চিত দোলা দিয়ে যাবে। প্রবেশপথের পাশেই লেকে নৌকা ওপর দিয়ে জিপলাইন। পাহাড়ের বুক জুড়ে তৈরি হয়েছে সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে। পায়ে হেঁটে পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় ধরে হেঁটে যাওয়া যাবে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে।

 

অবকাশ কেন্দ্রে রয়েছে রয়েছে কৃত্রিম জলপ্রপাত। তার পাশেই বসানো হয়েছে ক্যাবল কার। পুরো পরিবার একসঙ্গে ক্যাবল কারে চড়ে যাওয়া যাবে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। তার নিচে পাহাড় ঘেঁষে পাথরে বসে আড্ডা আর ওয়াকওয়ের পাশে লেকের ধারে তৈরি হচ্ছে মিনি কফিশপ। চিড়িয়াখানায় যুক্ত হয়েছে নতুন করে প্রায় চল্লিশ প্রজাতির প্রাণী। পড়ন্ত বিকেলে ছোট ছোট নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানো যাবে কেন্দ্রের লেকে।

 

এখানে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর। আগত দর্শনার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানাতে জাদুঘরে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ইতিহাস ও স্থিরচিত্র। পাশেই রয়েছে আদিবাসী জাদুঘর। বিলুপ্তপ্রায় আদিবাসীদের জীবনমানের নানা ইতিহাস ও স্থিরচিত্র নজর কাড়বে পর্যটকদের।

চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্কের পাশাপাশি এবার যুক্ত হচ্ছে শিশু কর্নার। সঙ্গে আছে শেরপুর জেলা ব্র্যান্ডিং কর্নার। এখানে জেলার বিভিন্ন ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্বলিত ছবি, পুস্তক ও ভিডিও চিত্র থাকবে।

 

১৯৯৩ সালে অবকাশ কেন্দ্রটি নির্মাণ করে জেলা প্রশাসন। এরপর থেকে হাজার হাজার মানুষ গজনী অবকাশ কেন্দ্রে ভিড় করেন। কেন্দ্রে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা, প্রবেশমুখে মৎস্য কন্যা (জলপরী), ডাইনাসোরের প্রতিকৃতি, ড্রাগন, দণ্ডায়মান জিরাফ, পদ্ম সিঁড়ি, লেক ভিউ পেন্টাগন, পাতালপুরী, হাতির প্রতিকৃতি, স্মৃতিসৌধ, গারো মা ভিলেজ, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়।

এ বিষয়ে শেরপুর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, পর্যটন সমৃদ্ধ জেলা শেরপুর। এটির বিকাশে জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার নতুন করে তিনটি রাইড যুক্ত করা হয়েছে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আরও নতুন কিছু রাইড যোগ হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর