পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেয়ায় ৬ জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ২টি মামলা দায়ের
বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় অভিযােগের বাদী শাহানাজ পারভীন ও তার পরিবারের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়েছে বরিশালের মাদক সম্রাজ্ঞী বেবি ও তার পরিবারের সদস্যরা।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আট টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বরিশাল নগরীর ভাটার খাল এলাকায়। এই ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর ভাটারখাল এলাকার মাদক সম্রাজ্ঞী বেবি ও তার পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।
প্রতিনিয়তই বেবি তার ছেলে সাদ্দাম, তারেক, জামাই জিদনী ওই এলাকায় নানা অপকর্মের সাথে জরিত ভাটারখাল বস্তিতে তারা নানান ভাবে মানুষকে হয়রানী করে আসছে। এ বিষয়টি নিয় চলতি মাসে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ দেয়ার পর থেকে অভিযোগের বাদীদের নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা এনিয়ে অনেবার অভিযোগও দেয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেয়া বাদী শাহানাজ পারভীন জানান, গত ২০১৯ সালে আমার ছেলের নামে একটি ভূয়া ফেইজবুক আইডি খুলে অশ্লীল মন্তব্য পোষ্ট করায় বেবির মেয়ে জামাই জিদনীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়রে করার পরে পুলিশ তাকে আটক করে। এইঘটনায় অনেকদিন হাজত বাস করে জিদনী। জেল থেকে বের হয়েই আমার পরিবারের উপর নানা ভাবে হামলা মিথ্যা মামলাসহ আমার পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করে আসছে।
আমরা কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে অনেকবার জিডি ও অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ বা ডিজির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দায়ের করার সংবাদ পেয়েই আমার পরিবারের উপর অর্তকিত হামলা চালায়।
হামলায় আমার স্বামী আলমগীর সরদার, আমার ছেলে রুবেল, আমার মেয়ের জামাই সুমন, আমার ২ মেয়ে এবং পাশ্ববর্তি আজাহার এবং তার ছেলেক কুপিয়ে জখম করে। এর মধ্যে আমার মেয়ের জামাই সুমনের সারা শরীরের প্রায় ৮৫/৯০টি সেলাই লেগেছে।
আমরা এই ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় ২টি মামলা দায়ের করি। মামলা দায়ের পর আসামী তারেক সহ অন্যানো আসামীরা মেডিকেলে গিয়ে আমার পরিবারের লোকজনদের হুমিক প্রদান করছে। আমরা এখনো নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
আমার ছেলে হাতের রগ কর্তন হাওয়ার কারনে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে। বিষয়টি নিয়ে কথা কেতায়ালী মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) নুর ইসলামের সাথে। তিনি জানান, আমরা পুজার কারনে একটু ব্যস্ত কিন্তু অপরাধী যেই হোক না কেন কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
এব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম সবকিছু দেখেছি। ২টি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীরা মেডিকেলে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, পুজার ব্যস্ততার কারনে আমরা আসামী আটক করতে পারিনী। কিন্তু অভিযান চালানো হয়েছে। তবে আমরা দ্রুতই আসামীদের আটক করতে পারবো বলে জানান এই কর্মকর্তা।