শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

আনসারদের গুলিতে চোখ হারালেন আ.লীগ-যুবলীগের ২ নেতা

রিপোর্টারের নাম / ১৫৯ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষী আনসার সদস্যদের গুলিতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ২ নেতার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বর্তমান ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার (২১ আগস্ট) বরিশাল ক্লান মিলনায়তনে আয়োজিত বিভাগীয় পৌর মেয়রদের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন মুলাদী পৌরসভার মেয়র শফিকুজ্জামান রুবেল।

শফিকুজ্জামান রুবেল বলেন, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে বিবর্ণ, ছেঁড়া ব্যানার অপসারণ করতে গেলে ইউএনও তাতে বাধা দেন।

তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিলে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির এবং মহানগর যুবলীগ নেতা তানভীর সেখানে যান। ঘটনার আকস্মিকতায় ইউএনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করলে মনিরুল ও তানভীরের চোখে গুলি লাগে।

তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয় ওই রাতেই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন তাদের দুজনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এই ঘটনার সঠিক বিচার চেয়ে মেয়র রুবেল বলেন, যারা অকারণে গুলি করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অন্ধ করে দিয়েছে তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশালে পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই রাতে সদর উপজেলা ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, শ্রমিক ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

এ সময় গুলির ঘটনায় আহত হন অনেকে। পুলিশ এবং ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। যাতে ৬০২ জনকে আসামি করা হয়। মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে করা হয়েছে প্রধান আসামি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর