বরিশালে ট্রাফিক সার্জেন্ট রানার পিতার ইন্তেকাল
না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট মোঃ রানা মিয়ার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল খালেক মিয়া( খালেক পত্তনদার) জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল খালেক মিয়া ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায় ১৯৪৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।
পিতা মুন্সি কিতাব উদ্দিন আহমেদ ও মাতা মোসাঃ যোহরা বেগমের ৪ ছেলে মেয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
ছাত্র জীবন থেকেই খুব মেধাবী ও দেশ প্রেমিক একজন মানুষ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ২২বছর বয়সে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।
স্বাধীনতার পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন। বিএসসি পাশ করে যোগদান করেন কৃষি বিভাগ।
দীর্ঘদিন নিজের উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে ফরিদপুর জেলার চরভদ্রআসন উপজেলা থেকে সরকারি চাকরি জীবনের ইতি টানেন।
চাকুরী জীবন শেষ করে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
এছাড়াও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করেছেন জাতীর এই সূর্য সন্তান। শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে কয়েকদিন আগে রাজার বাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ই আগষ্ট রোজ বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে চলে গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল খালেক মিয়া।
তার মৃত্যুর সংবাদে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে। দোহার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষানুরাগী মোঃ আব্দুল খালেক মিয়াকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুর পূর্বে ছেলে মেয়েসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
পিতার মৃত্যুর পর পুলিশ সার্জেন্ট মোঃ রানা মিয়া বলেন,, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যান্ত বিনয়ী একজন মানুষ ছিলেন। অনেক মানুষের চলাফেরা করেছেন তার আচরণে কেউ যদি কোন দিন কষ্ট পেয়ে থাকেন ক্ষমা করে দিবেন।
পাশাপাশি তার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।