গলাচিপায় রুনা আক্তারকে মারধর হাসপাতালে ভর্তি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় রুনা আক্তার (১৯) কে মারধর করার খবর পাওয়া গেছে। রুনা আক্তার উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের চর সুহরী গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল রাজ্জাক মোল্লার মেয়ে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় শনিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মোল্লা বাড়ির রাস্তার উপরে কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা হাতে থাকা লাঠি দিয়ে রুনাকে এলোপাথারী ভাবে পিটাতে থাকে।
রুনার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এসে পড়লে মারধর কারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা রুনা আক্তারকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জোবায়রিয়া লিনজা বলেন, রুনা আক্তার আমার চিকিৎসাধীনে ২য় তলার ৫ নম্বর বেডে ভর্তি আছে।
তার মাথা ফেটে গেছে এবং ডান হাতে চোট লেগে ফেটে গেছে। সারা শরীরে কালো কালো দাগ আছে। এ বিষয়ে আহত রুনা আক্তার বলেন, দোকান থেকে টাকা পয়সা নিয়ে বাসায় ফেরার পথে আমাদের একই এলাকার কবির মোল্লা, খবির মোল্লা, রিফাত ও রিয়া বেগমএকত্রিত হয়ে হাতে থাকা
লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাথারী ভাবে পিটাতে থাকে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে আমার কাছ থেকে দোকানের টাকা পয়সা ও গলায় থাকা একটি চেইন নিয়ে যায়।
পরে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে রুনা আক্তারের বাবা আব্দুল রাজ্জাক মোল্লা বলেন, আমি গরিব মানুষ।
আমার কোন ছেলে নাই। আমার কয়টি মেয়ে আছে। আমার ছোট একটি দোকান আছে। আমার মেয়ে দোকনদারি করে বাসায় ফেরার পথে প্রতিপক্ষরা টাকা পয়সা ও আমার মেয়ের গলার একটি চেইন নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে খবির মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রীওআহত হয়েছে। গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি আমি আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি।
চৌকিদার পাঠিয়ে দুইপক্ষকে ডেকে মিমাংসার ব্যবস্থা করব। গলাচিপা থানা অফিসারইনচার্জ (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে আব্দুল রাজ্জাক মোল্লা গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান।







